দুর্ভাগা পোর্তো, হেরেও সেমিফাইনালে চেলসি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর বিপক্ষে হেরেও সেমিফাইনালে উঠে গেছে চেলসি। দ্বিতীয় লেগে পোর্তো জিতেছে ১-০ গোলে। কিন্তু, প্রথম লেগে চেলসির দুটি অ্যাওয়ে গোল থাকায় সেমির টিকিট পেল থমাস টুখেল বাহিনী।
মাঠ সেই সানচেজ পিজ্জুয়ান। করোনার তাণ্ডবে নিজস্ব সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ না পেলেও, কাগজে কলমে এটা ছিল চেলসির হোম ম্যাচ। ৭ বছর পর সেমিফাইনালের মঞ্চে উঠতে, প্রথম লেগে দুটি মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল ছিল ব্লুদের। যে সমীকরণ নির্ভার রেখেছিল থমাস টুখেলকে।

কিক অফের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল পর্তুগিজরা। মাঝ মাঠটাও নিয়ন্ত্রণে ছিল কনসেইকাও বাহিনীর। ইংলিশ জায়ান্টদের রক্ষণাত্মক কৌশলের সুযোগ নিয়ে আক্রমণে চাপ বাড়ায় অলিভিয়েরা-তারেমিরা। কিন্তু লক্ষ্যে শট ছিল না একটাও। সবগুলো চেষ্টাই ছিল অফ টার্গেট। প্রথমার্ধ্বটা তাই দু দলের গোলরক্ষকই কাটিয়েছেন হেলেদুলে।

৮ মিনিটে একবার সুযোগ পেয়েছিলো চেলসি। কিন্তু ম্যাসন মাউন্টের কিক দিক বদলে যায় ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে। আর ৩৩ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে ড্রাগনরা। ডি বক্সে উড়িয়ে মেরে বল নষ্ট করেন হেসুস করোনা।

বিরতি থেকে ফিরেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল টুখেল শিষ্যরা। কিন্তু পুলিসিচের একইরকম লক্ষ্য ভ্রষ্ট শট হতাশা বাড়ায় চেলসি শিবিরে। পালটা আক্রমণে ৬৫ মিনিটে অন টার্গেটে প্রথম শট করে পোর্তো। কিন্তু তারেমির হেড আটকে যায় এডোয়ার্ড মেন্ডির গ্লাভসে।

এরপর ম্যাচ জুড়ে অগোছাল ফুটবলের পশরা সাজায় দু দল। আচমকা আক্রমণগুলো দাপট দেখাতে পারেনি ডি বক্সে। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা এবং ডিফেন্স লাইনের দৃঢ়তায় ম্যারম্যারে ড্র’র দিকেই এগুতে থাকে খেলা।

কিন্তু ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে ভেঙে যায় ডেডলক। গোল পায় পোর্তো। দৃষ্টিনন্দন ওভারহেড কিকে বল জালে পাঠান তারেমি। গোলের সঙ্গে ম্যাচ শেষেরও বাঁশি বাজান রেফারি।

জয় পেলেও অ্যাওয়ে গোলের হিসেবনিকেশে বাদ পড়ে যায় পোর্তো। আর হেরেও তখন আনন্দে আত্মহারা চেলসি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.