দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গাংচিল বাহিনী’র প্রধানসহ ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র সহ মাদক উদ্ধার

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আমিনবাজার ও রাজধানীর গাবতলী এলাকার নদীপথের ত্রাস দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এসময় তার ২ সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশী পিস্তল, গুলি, হেরোইন, ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র। আজ শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে সাভারের আমিনবাজার এলাকার সালেহপুর থেকে তাদের আটক করে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। আটককৃত ২ সহযোগীর নাম মো. আকিদুল এবং মো. আসাদ।

র‌্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গাংচিল বাহিনীটি সাভার, আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার, ডাকাতি, খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে আসছিল। এর নেতৃত্বে ছিলেন সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিন। গোপন খবরে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। এসময় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিনের সঙ্গে থাকা একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে। এগুলো সবই আদালতে বিচারাধীন।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ভয়ঙ্কর গাংচিল বাহিনীর উত্থানের পর থেকেই তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এ বাহিনীর প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার।

২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার প্রধান সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিন এ সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। গাংচিল বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে সাভার থানার এক এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দুই র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-পুলিশ টহল দলের অস্ত্রলুটের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাভার প্রতিনিধি মো. শামিম আহম্মেদ (শামিম) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.