দুদক চেয়ারম্যান ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয় : সেতুমন্ত্রী

ঢাকা প্রতিনিধি:  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে। সরকার যেকোনো দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ডিসি সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ফৌজদারি আইনে সরল বিশ্বাসে অপরাধ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। তবে সরল বিশ্বাস বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে।

ঢাকায় ডিসি সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে করা অভিযোগের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ করা ছাড়া তাদের আর কোন কিছুই করার নেই।

বিএনপি’র কোথাও কোন সভা-সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কল্পিত অভিযোগ করা ছাড়া বিএনপি’র কিছুই নেই।

বন্যা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ এবং সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আজও আমাদের একটি প্রতিনিধিদল জামালপুর ও গাইবান্ধায় গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের টিমগুলো বন্যা দুর্গত এলাকায় যাচ্ছে। বন্যা মোকাবেলা ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ ও সরকার বন্যা মোকাবেলায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয়পার্টি‘র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয়পার্টি দেশের প্রধান বিরোধীদল। জাতীয় সংসদে তাদের অনেকগুলো আসন আছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে যারা সময়োপযোগী রাজনীতির চর্চা করবে। যে দল সময়োপযোগী রাজনীতি চর্চায় ব্যর্থ হবে সে দলই রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের ইন্ধনদাতাদের শাস্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা যত কঠিনই হোক না, আমরা প্রথমে কারণ দর্শাতে বলি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হয়, কেন তাকে বহিষ্কার বা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

তিনি বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিদের মধ্যে যারা বিদ্রোহে ছিল বা সহায়তা করেছে তাদের সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.