দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে জিতে শেষ আটে জাপান

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দুই দলই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। জাপান ২০১১ আসরে, নরওয়ে ১৯৯৫-এর। সর্বশেষ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের অবস্থান পাশাপাশি—১১ আর ১২। তবে অতীত সাফল্য আর বর্তমান শক্তিমত্তা মিলিয়ে কাছাকাছি থাকলেও ফিফা নারী বিশ্বকাপ শেষ ষোলোর মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলটা হয়েছে একপেশেই।
নরওয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। আগামীকালের যুক্তরাষ্ট্র-সুইডেন ম্যাচের জয়ী দল হবে জাপানের প্রতিপক্ষ। আজ শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মেয়েদের ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় স্পেন। শেষ আটে তারা আগামীকালের নেদারল্যান্ডস-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে খেলবে।
ওয়েলিংটন রিজিওনাল স্টেডিয়ামের ম্যাচে ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল জাপান। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের সব কটিতে জিতেই শুধু নয়, প্রতিপক্ষের জালে ১১ গোল দিয়ে আর এক গোল হজম না করে শেষ ষোলোয় ওঠে এশিয়ার দেশটি।
বিপরীতে গ্রুপপর্বে নরওয়ে ছিল নড়বড়ে। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। তবে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফিলিপাইনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে নকআউটে উঠে আসে তারা। তবে ২০১৯ আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নরওয়ে জাপানের বিপক্ষে আশাবাদীই ছিল। জাপান ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন আর ২০১৫ সালে রানার্সআপ হলেও সর্বশেষ আসরে থমকে গিয়েছিল শেষ ষোলোয়।
ম্যাচ শুরুর পর প্রথম গোলটা আসে কিন্তু নরওয়ে খেলোয়াড়দের কাছ থেকেই। তবে গোলপোস্টটা ছিল ভুল। ১৫ মিনিটে ইংরিড এনজেনের দেওয়া গোলটি ছিল নিজেদের জালে, জাপান এগিয়ে যায় আত্মঘাতী গোলে। ৫ মিনিট পর জাপানের জালেও বল যায়, এবার নরওয়ের জন্য গোল নিয়ে আসেন গুরো রেইটেন। প্রথমার্ধ পর্যন্ত ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-১-ই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জাপানকে এগিয়ে নেন রিসা শিমিজু। এর পর থেকে নিজেদের জাল অক্ষত রাখার দিকে মনোযোগ দেওয়া শুরু করে জাপান। উল্টোদিকে গোল শোধে বারবারই নরওয়ের বেশির ভাগ খেলোয়াড় আক্রমণে উঠতে শুরু করেন। আর এমনই এক আক্রমণের পাল্টায় ৮১ মিনিটে নরওয়ে রক্ষণে ঢুকে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাপানকে তৃতীয় গোল এনে দেন হিনাটা মিওয়াজা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাপানের মেয়েরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে নরওয়েকে হারিয়ে পুরোনো এক হারের প্রতিশোধও নিয়েছে জাপান। এশিয়ান দলটি ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে নরওয়ের কাছে ৪-০ গোলে হেরে গিয়েছিল। সেদিন নরওয়ের হয়ে প্রথম গোল করা রিসি আজ ছিলেন দলটির ডাগআউটে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.