দুই নারীর ডিএনএ থেকে জন্মাল শিশু

বিটিসি নিউজ ডেস্কগ্রিস ও স্পেনের প্রজননবিদ্যার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনজনের ডিএনএ থেকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এক শিশুর জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এক নারীর বন্ধ্যাত্ব ঘোঁচানোর জন্য আরেক নারীর ডিএনএ নিয়ে ওই শিশুর জন্ম দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই শিশুর জন্ম হয়েছে দু’জন নারীর ডিএনএ থেকে। যা চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।

ওই চিকিৎসকদের দাবি, তারা চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্বব্যাপী নিঃসন্তান দম্পতি এ পদ্ধতির সুফল পাবে। গত মঙ্গলবার ওই শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। ৩২ বছর বয়সী মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো আছে।

ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতিতে ওই শিশুর জন্ম দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরের বাইরে শুক্রাণু একটি ডিম্বানুর সঙ্গে মেশানো হয়।

তবে এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রজনন বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে নৈতিক জায়গা থেকে প্রশ্ন তুলছেন তারা। তাদের মতে, এ ধরনের প্রজনন ঠিক নয়।

জানা গেছে, গ্রিসের ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে তাকে ডিএনএ দান করেন আরেক নারী।

গ্রিসের অ্যাথেন্সের ইন্সটিটিউট অব লাইফের প্রধান ড. প্যানাজিওটিস প্যাথেস বলেন, বিশ্বে প্রথমবারের মতো একজন বন্ধ্যা নারী নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ করে তার জন্ম দিতে পেরেছেন। গ্রিসের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে এ ধরনের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। যারা সন্তান নিতে পারছেন না, এখন থেকে সেসব নারীদের এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা হবে।

ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মকর্তা ড. নুনো কোস্তা বোর্গা বলেন, প্রথমবারের মতো এ ধরনের ঘটনায় সফলতা এসেছে। নিঃসন্দেহে এটা মাইলফলক। যারা নিজেদের গর্ভে সন্তান ধারণ করতে চায়, সেসব নিঃসন্তান অগণিত মায়েদের সহায়তা করা হবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.