ঢাকা প্রতিনিধি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দিল্লির গোলামী করার জন্য অতন্দ্রপ্রহরী মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেনি। জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিল সগৌরবে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে রাখার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। পাকিস্তানী জালেমরা যখন জুলুম, অত্যাচার—নীপিড়ন বাড়িয়ে দিয়েছিল তখন এদেশের সাধারণ মানুষ চারদিকে প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল। আজকেও ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম অত্যাচার, নিয়ন্ত্রহীন প্রশাসন, সর্বত্র দলীয়করণ, জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে দেশব্যাপী প্রতিরোধ শুরু হবে। সব বিষয়ে পাশের রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকা সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। দায়বদ্ধতা আছে ব্যাংক লুট, বাণিজ্য সিন্ডিকেট আর দুনীর্তি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের প্রতি। তাদেরকে কিভাবে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেয়া যায়, নামে—বেনামে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া যায় সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সতর্ক।
আজ ২৬ মার্চ’২৪ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ভাটারাস্থ আস-সাঈদ হলে স্বাধীনতা দিবসে “স্বাধীনতার ৫৩ বছর প্রত্যাশা—প্রাপ্তির খতিয়ান” শীর্ষক আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, নগর সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, ডাঃ মুজিবুর রহমান, এড. শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) আমিনুল হক তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কাউন্সিল নেতা মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর প্রত্যাশা—প্রাপ্তির খতিয়ান মিলাতে গিয়ে আমরা দেখলাম ভারতের গোলামীর জিঞ্জিরে আমরা আষ্টেপিষ্ঠে বাধা। ব্যাবসা—বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক রদবদল ও পদোন্নতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয় ওপার থেকে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশেনের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়। নবাব সলিমুল্লাহর দান করা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে যেসকল শিক্ষক, উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধি প্রতিবন্ধিরা ভারতের পক্ষে দালালী করছে তারা বাংলাদেশের নব্য রাজাকার। তাদের বিচার একদিন বাংলার জনগণ করবে ইনশা আল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের আগে এদেশে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করত পশ্চিম পাকিস্তান। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এদেশের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে দিল্লি। এর চেয়ে দুঃখ জনক হতাশাব্যঞ্জক কাজ আর হতে পারে না। স্বাধীন সার্বভৌম আমার এই বাংলাদেশকে যারা দিল্লির হাতে তুলে দিতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে তারা বিশ্বাস ঘাতক, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। এদেশের মানুষ একাত্তরের রাজাকারদের যেভাবে বিচার করেছে, এই নব্য রাজাকারদেরও এদেশের মানুষ উচিত শিক্ষা দিবে।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার অরেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মারুফ সরকার। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.