দিনাজপুরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে!!!

 

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের আদালত প্রাঙ্গনে প্রধান ফটকের ভিতরের গ্রীলের দরজায় হেলান দেয়া একজন অজ্ঞাতনামা এক যুবকে দেখামিলে। বিকেলে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে অজ্ঞাতনামা এক যুবক সংজ্ঞা হারিয়েছে।

আর সে দৃশ্য উপস্তিত লোকজন তা দেখছে। কিন্তু তার এই পরিস্থিতি দেখে কেউ সাহস করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে না।

পরে পত্রিকার প্রয়োজনীয় কাজে কাচারী এলাকায় গিয়ে শাহ আলম বাবু নামে একজন জানালেন, এক যুবক সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে রয়েছে। তার ছবি তুলতে বললেন। তার কথা শুনে কাছে গিয়ে যুবকটির ছবি ক্যামরাবন্দি করলাম। যুবকটির এই অবস্থা দেখতে আশপাশে দোকানদার সহ আদালত চত্তরে আসা অনেকে ভীড় করেছে।

এ সময় একজন জনৈক ব্যাক্তি মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। তাকে বললাম, যুবককে কি আপনি চেনেন ?

সে বললো যে  যুবককে চিনি, তার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে পরিবারকে জানানো হয়েছে। যুবকটির বাড়ি পার্বতীপুর উপজেলায়,এমন সময় আমাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (আসক) এর পরিচালক এম এ মজিদ সরকার  মুঠোফোনে খোজ করছে। তাকে জানালাম, আপনি জরুরী ভিত্তিতে আদালত প্রাঙ্গনের প্রধান ফটকের সামনে আসেন। আপনার পার্বতিপুর উপজেলার এক যুবক জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছে।

যেমন কথা তেমন কাজ। (আসক) এর পরিচালক এম এ মজিদ সরকার দ্রুত ছুটে আসেন। স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতা নিয়ে অজ্ঞাতনামা যুবকটিকে ইজিবাইকে উঠিয়ে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। আসকের পরিচালক এম এ মজিদ আমাদের সবার আন্তরিকতায় ডাক্তারগন তাকে ইসিজি করান। এরপর প্রজনিয় কিছু ঔষধ দোকান থেকে কিনে দিয়ে রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।পার্বতিপুর থেকে পরিবারের লোকজন এসে যুবকটিকে হাসপাতালে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

পরিবারের লোকজন জানায়, যুবকটির নামঃরিসাদুল হাসান রিসাদ, পিতার নামঃ-মোঃ মাহাবুর রহমান, সাং বাবুপাড়া উপজেলা – পার্বতিপুর, জেলা-দিনাজপুর। সে পার্বতিপুর আদর্শ কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র। সে কলেজের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। তার কাজ ছিল, সেসন চার্জ বেতন সহ, আনুষঙ্গিক বিষয়ের বাবদ বাড়ি থেকে ২৫’শত টাকা টাকা নেয়। সে কলেজের কাজ শেষ করে দিনাজপুর শহরে গিয়ে তার মায়ের পুরাতন মোবাইল সেট মেরামত করার পর আদালত এলাকায় গিয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এডভোকেটের সাথে কথা শেষ করে বাড়ি ফিরবে।

কিন্তু দুঃখজনক বিষয় অজ্ঞান পার্টির লোকজন খাওয়ার সাথে কিছু মিশিয়ে রিসাদুল হাসান রিসাদকে অজ্ঞান করে তার ব্যবহিত এনড্রোয়েট মোবাইল সেট ও তার নগদ ২৫’শত টাকা নিয়ে সকলের চোখে ধাধা ধরিয়ে চম্পট দিয়েছে।

একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আদালত চত্তরে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। বর্তমানে রিসাদুল ইসলাম রিসাদ দিনাজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.