দিঘলিয়ার বারাকপুরে বইতে শুরু করছে নির্বচনী হাওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে

দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে শূন্য আসনে উপনির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর। এ নির্বাচনকে ঘিরে গোটা বারাকপুর ইউনিয়ন এলাকায় জমে উঠেছে নির্বাচনী তোড়জোড়। প্রতিটা প্রার্থী তার নিজ নিজ অবস্থান সুদৃঢ় করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী জাকির হোসেন হত্যার প্রধান আসামী শেখ আনসার আলী জামিনে কারামুক্ত হয়ে এসে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।
তিনিও নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই জানান দিয়েছেন। অপর দিকে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের অপর এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইকবাল হোসেনের নাম শোনা গেছে যে তিনিও নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এদিকে সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। বারাকপুরের সর্বস্তরের মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন ঢাকার দিকে। কে পায় সোনার হরিণ নৌকা প্রতীক।
সূত্র থেকে জানা গেছে, গত মাসের ২০ তারিখে দেশের ১০ জেলার ১১ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী তফসীল অনুযায়ী উপনির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর। প্রার্থীরা রিটার্ণিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিবে ৬ অক্টোবর, মনোনয়ন পত্র বাছাই ১০ অক্টোবর এবং মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ অক্টোবর।
এদিকে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের নেতা কর্মীদের নিজ নিজ সমর্থন ও অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ার বিষয়টা জন সন্মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বারাকপুরের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের অভিমত প্রয়াত গাজী জাকির হোসেনের পরিবারের কেউ মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে। কারণ সকল আবেগ ও অনুভুতি ঐ পরিবারের প্রতি থাকে। এ চিন্তাধারাকে চিরন্তন সত্য ও পুঁজি ভেবে মৃত ব্যক্তির সন্তান, স্ত্রী অথবা পরিবারের অন্য কাউকে প্রার্থী করে থাকে। এ চিন্তাধারা পরবর্তীতে সফলও হয়।
প্রয়াত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের মৃত্যুর পর বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত এক বিশাল কর্মী সমাবেশে গাজী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রয়াত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের আপন ভাইয়ের পুত্র গাজী ছগীর হোসেন পাভেলকে নৌকার মাঝি করার দৃঢ় প্রত্যয় ও বিশ্বাস নিয়ে তার হাতকে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেদিন এ প্রস্তাবের বিপক্ষে সেদিন কোন পিছুটান কাজ করেনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফসীল ঘোষনার সাথে সাথে ৫ জন দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বারাকপুরের যুবসমাজের মধ্যমণি গাজী সগীর হোসেনকে ঘিরে যখন মাঠ তৈরিতে ব্যস্ত তখনই শুরু হয়েছে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াই।
বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে যে সকল নেতা নৌকা প্রতীক বা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা হচ্ছেন বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল ওয়াদুদ, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্যা নজরুল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা গাজী সগীর হোসেন পাভেল ও আর এক যুবলীগ নেতা গাজী জিয়াউর রহমান।
এক সূত্রে জানা গেছে, ২/১ দিনের মধ্যেই দলীয় প্রার্থীর নাম প্রকাশিত হবে। তবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাওয়া পাওয়া উপেক্ষিত হলে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলীয়ভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হতে পারে বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তবে এক সূত্র বলছে জনমত যাচাইয়ে গাজী সগীর হোসেন পাভেলের অবস্থান শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন চৌধুরী আব্দুল ওয়াদুদ।
এদিকে জানা গেছে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আছেন। তিনিও নিজেকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী মনে করছেন।
অপরদিকে বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ ইকবাল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর বাইরে আরো অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.