বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) রাত ১০ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার দিঘলিয়া, লেঃ কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন, (ই), বিপিএম-সেবা, বিএন এবং দিঘলিয়া থানা, অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এর নেতৃত্বে নৌবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে দিঘলিয়া উপজেলাস্থ সেনহাটি ইউনিয়নের অন্তর্গত আদর্শপল্লী বাইদা পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে ডাকাত চক্রের ২ সদস্য জামাই আল-আমিন, পিতাঃ সেলিম হোসেন এবং মোঃ ফয়সাল, পিতাঃ উজির আলীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ১টি এবং মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়। এদিকে সকালে এলাকাবাসী ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত যুবরাজ পিতা সোহাগকে আটক করে দিঘলিয়া থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছে।
উল্লেখিত গ্রেফতারকৃতদের নামে থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, অপহরণ, মাদক মামলা এবং লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
পরবর্তীতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১ আগস্ট রাত সোয়া ১১ টায় হতে ২ আগস্ট রাত সোয়া ২ টা পর্যন্ত একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কানা শান্ত, পিতাঃ মুরাদ হোসেন এবং তার সহযোগী সাজ্জাদ গাজি, পিতাঃ শাহীন গাজি কে তাদের বাড়ি তল্লাশি করে আটক করা হয়। আটকৃত সন্ত্রাসীদের নামে থানায় একাধিক খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং মাদক মামলাসহ লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখিত ডাকাত দলের সদস্যগণ গত ১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ভোর ৫ টা ২০ মিনিটে মোঃ বক্কার হোসেন (ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত) গ্রামঃ সেনহাটি আদর্শ পল্লী এর বাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে ঘরে থাকা আলমারি ভেঙে হাতের রিং (আংটি) ১টি, কানের দুল ২টি, পায়ের নুপুর ৩টি, নাকফুল ১টি এবং সাথে থাকা মোবাইল ২টি নিয়ে চলে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, উক্ত ডাকাতি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরো ১ জন সদস্য মোঃ সাকিব হোসেন পলাতক রয়েছে। বর্ণিত যৌথ অভিযানে পুলিশ এবং নৌবাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসীদের আটক করায় এলাকাবাসীর তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং স্বস্তি প্রকাশ করতে শোনা যায়। অভিযান শেষে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন বলেন, দেশের স্বার্থে যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.