দিঘলিয়ায় টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় গত ৩ দিনের হালকা ও ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি রোপা আমন, পানের ক্ষেত ও সবজি ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সহস্রাধিক বিঘার ঘের-বেড়ি ও পুকুর নিমজ্জিত হয়ে লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিন ধরে দিঘলিয়া উপজেলায় কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বর্ষণের কারণে এ জনপদের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সম্প্রতি রোপা আমন ধানের জমি, পানের বরজ ও সবজী ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সহস্রাধিক বিঘার ঘের-বেড়ি ও পুকুর নিমজ্জিত হয়ে লাখ লাখ টাকার সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছের ক্ষতি হয়েছে। পান চাষি, ধান চাষি, সবজি চাষিসহ শত শত মাছ চাষিদের জীবনে নেমে এসেছে দুশ্চিন্তার ভাল।
অনেক মানুষের বসত বাড়িতে পানি জমা হয়ে পড়েছে। এ জনপদে অপরিকল্পিত আবাসন, পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা, খালগুলোতে পাটা ও জাল পেতে মাছ ধরা ও পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, উপজেলার খালগুলোর নদী সংযোগ স্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুয়েজ গেটগুলোর কার্যকারিতা অকার্যকরসহ বিভিন্ন যৌক্তিক কারণে এ জলাবদ্ধতা ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ বলে বিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার দিঘলিয়া বিটিসি নিউজকে জানান, গত ৩ দিনের দুর্যোগপূর্ণ আওহাওয়া ও হালকা ও ভারী বর্ষণে এ উপজেলার গড়ে ওঠা ক্লাস্টার পদ্ধতির চিংড়ি ঘেরসহ সাদা মাছের ঘের ও পুকুর নিমজ্জিত হয়ে মাছ বেরিয়ে গেছে কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ না করে এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কিশোর আহমেদ বিটিসি নিউজকে জানিয়েছেন, গত তিন দিনের বর্ষণে ১০০০ হেক্টর রোপা আমন, ১৫০ হেক্টর সবজী ক্ষেত ও ৫ হেক্টর পানের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয় ক্ষতি কম হতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.