দিঘলিয়ায় জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির ৪টি পশুর হাট। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘুরে ফিরছেন বিভিন্ন পশুহাটে। ক্রেতাদের সাইজ ও দাম পছন্দ হলে কুরবানির পশু ক্রয় করে নিয়ে তবেই ফিরছেন বাড়িতে। কাঙ্খিত দাম পাওয়ার অপেক্ষা করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বসেছে কুরবানির পশুর হাট। দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া ওয়াইএমএ ক্লাব মাঠে, সেনহাটি ইউনিয়নের পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে, গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলা হাট ও যোগীপোল ইউনিয়নের তেলিগাতী বাইপাস সড়কে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় এ সকল হাট বসেছে এ এলাকায়।
এর মধ্যে সব থেকে বড় পশুর হাট গাজীরহাটের কোলা ও সেনহাটির পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। সকাল থেকেই হাজার হাজার পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোলাহলে সরগরম হয়ে উঠেছে সেনহাটি পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের হাটটি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা। এ হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার সমন্ময় পরিলক্ষিত হয়েছে।
সেনহাটি গ্রামের বারুইপাড়া থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি মতিয়ার রহমান বলেন, চারটি গরু নিয়ে আসছিলাম। ২টি বিক্রি করেছি। অনেক লোকজন থাকলেও দাম ভাল বলে না।
খুলনার সদর থেকে গরু কিনতে আসা আফজার হোসেন বলেন, গরুর দাম এবার অনেক বেশি। দেখছি কিন্তু দামে পটছেনা। দামে পটলে তবেই কিনব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। বড় গরু এখনো তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশী। হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, তাই দামও একটু বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
ছোট আকৃতির গরু ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের গরু দেড় লাখ থেকে দুই লাখে বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় সাইজের গরু দুই লাখ থেকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর চেয়ে বেশি দামের গরুগুলোকে বড় আকৃতির ধরা হচ্ছে। সেগুলোর দাম ৫ লাখ থেকে ২০-২৫ লাখ পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। হাটে আসা বেশিরভাগ ক্রেতাকে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশী কিনতে দেখা গেছে।
হাটে প্রবেশমুখের পাশেই বেশ বড় একটি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যাপারী একরাম হোসেন।
আমাদের গরুর দাম বলে ৪০০ টাকা করে কেজি। আমার এই গরুটার ওজন ২৬ মণের বেশি। এখন পর্যন্ত ক্রেতারা সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। আমরা ১২ লাখ টাকা দাম চাইছি। ক্রেতারা যে দাম বলছে তাতে মাংসের দামই বলছে না।
এই ব্যাপারী বলেন, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে।
গ্রাম থেকে নয়া রাজা নামে গরু নিয়ে আসা আয়েশা অ্যাগ্রোর মালিক বলেন, আমার নয়া রাজার ওজন ৩৮ মণের বেশি হবে। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, দামও বলছেন।
গরু কিনতে এসেছেন হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, আমি ছোট সাইজের মধ্যেই একটু বড় গরু কিনেছি। আমার এই সাইজের গরু কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আমার বাজেটের মধ্যেই পেয়ে গেছি, এজন্য কিনে ফেললাম।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থেকে দিঘলিয়ায় গরু কিনতে আসা করিম বলেন, আমি ছোট সাইজের গরু কিনলাম। আগেভাগে কিনে ঝামেলা থেকে রক্ষা পেলাম। আগামী দুইদিন অনেক ভিড় হবে। আমি ৬৩ হাজার টাকায় কিনতে পেরেছি। বাজেটের মধ্যে হয়ে গেছে। আমি খুবই খুশি।
শুধু হাট নয় খামারিরা নিজ বাড়িতে বসেও কোরবানির পশু বিক্রি করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেও অনেকে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন অনেক খামারীরা ও ব্যক্তিগত পশু পালনকারীরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.