দিঘলিয়ায় ঘটনার দশ দিনেও গ্রেফতার হয়নি সন্ত্রাসী মাসুম

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়ার আড়ুয়া এলাকায় জনৈক হৃদয়কে বেদম মারপীট করার ঘটনার ১০ দিন পার হলেও হামলাকারী সন্ত্রাসী মাসুম গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকার মানুষ দিন দিন ফুঁসে উঠছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার আড়ুয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার এ মাসুম। সে অত্র এলাকার রাধামাধবপুর গ্রামের বিল্লাল মোল্লার পুত্র।
সে ঐতিহ্যবাহী আড়ুয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার হওয়ার সুবাদে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর নানা অনিয়ম, দুর্ণীতি ও নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে নানাভাবে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে থাকে।
ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের আখড়া গড়ে তুলে। তারই ধারাবাহিকতায় মহামারি করোনাকালিন সে আড়ুয়া খেয়াঘাটে নানা অনিয়ম ও চাঁদাবাজি শুরু করে।
এলাকার মানুষের ওপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন শুরু করে। এলাকাবাসী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল আলমকে অভিযোগ করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ও জরিমানা করেও তাকে নিবৃত করা যায়নি।
তার অনিয়মের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তৎকালীন সময়ে উপজেলার এ ঘাটটি ইজারামুক্ত করে বারাকপুর ইউনিয়নের খাস কালেকশনে দেওয়া হয়।
ইউএনও মোঃ মাহবুবুল আলম পদন্নোতিজনিত কারণে দিঘলিয়া থেকে বদলী হওয়ার পর ও বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন নিহত হওয়ার পর পুনরায় দেন দরবার করে ঘাটের ইজারাদার বহাল হয়। আবারো শুরু হয় এ এলাকায় আধিপত্য ও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
গত ২ জানুয়ারি আড়ুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন দশম শ্রেণির সংখ্যালঘু ছাত্রকে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে অবাঞ্ছিতভাবে বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে মারধর করতে করতে স্থানীয় খেয়াঘাটে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দেয়।
তার বিরুদ্ধে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জামিনে এসে সে পুনরায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে গাজীরহাট মহাশ্মশানে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে হৃদয় নামে জনৈক যুবককে হাতুড়ি পেটা ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উক্ত মাসুম মোল্যা বর্তমানে আত্নগোপনে থেকে জামিন নেওয়ার জন্য নানা মহলের কাছে নানাভাবে দেন দরবার করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সকল কর্তৃপক্ষ এ মাসুম মোল্যাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়সহ সকল মানুষ ফুসে উঠেছে। আড়ুয়া উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সকল মহলের এক দাবী সন্ত্রাসী মাসুম মোল্যাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.