দামুড়হুদার হুদাপাড়ায় সরকারী জমিতে পাঁচিল নির্মাণের অভিযোগ :: ২০ টি পরিবার অবরুদ্ধ

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হুদাপাড়া গ্রামের সরকারী জমিতে পাঁচিল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। একমাত্র  চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ২০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আলতাফ হোসেন গং নামে তাদের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমিতে পাঁচিল নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবরুদ্ধ পরিবারগুলো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য্যান খলিলুর রহমান ভুট্র’র নিকট অভিযোগ করলে তিনি স্হানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম ভগু কে নির্দেশ দেন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার। পাঁচিল নির্মাণ কাজ করায় অবরুদ্ধ পরিবারগুলো কয়েকদিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের চলাচলের জন্য মাটির রাস্তা। রাস্তাটির উপর দিয়ে পাঁচিল নির্মাণের সরঞ্জামাদি (রড,লোহা, ইট ও বালি) পড়ে রয়েছে।এতে পুরো রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০/৩০ বছর ধরে ওই সব পরিবার রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করত। হঠাৎ কয়েকদিন ধরে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হুদাপাড়ার  মৃত মোজাম্মেল হক সর্দারের ছেলে আলতাফ হোসেন সর্দার গং রাস্তাটির  পাঁচিল নির্মাণ করছে।
অবরুদ্ধ পরিবারগুলো বাধা দিতে গেলে আলতাফ হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান হুদাপাড়া মৌজায় ৩৩৬ দাগে ৩৪৯ খতিয়ানে ২২ শতক জমি হুদাপাড়া গ্রামের আমির হোসেন, মকছেদ আলী ও,রাহাতুল্লাহ নামে বিনিময় সম্পত্তি ছিল। বর্তমানে ২২ শতক জমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। আমি সাড়ে ৩ কাঠা জমি আমার দখলে, মানুষজনের বের হওয়া পথ ফেলে রেখে পাঁচিল নির্মাণ করছি, বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য আব্দুল মান্নান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বাব-দাদারা দির্ঘদিন যাবৎ চলাচল করছে এবং আমরাও চলছি। হঠাৎ করে আলতাফ হোসেন লোকজন নিয়ে একমাত্র রাস্তাটির উপর দিয়ে পাঁচিল নির্মাণ করছে।
অবরুদ্ধ পরিবারের আরেক সদস্য চাহান সর্দার বিটিসি নিউজকে বলেন, এই মহল্লার একমাত্র ‘রাস্তা দিয়ে অনেকগুলো পরিবার চলাচল করে।আলতাফ হোসেন বিটিসি নিউজ কে বলেন এই সম্পত্তি উপর আমার বাব-দাদারা ৫০-৬০বছর ধরে বসবাস করে আসছি। তখন কোনো সমস্যা হলো না  যেই পাঁচিল নির্মাণ করতে যাচ্ছি তখনই বাঁধার সম্মূখে পড়ছি। টাকা দিয়ে কিনে নিবো তা কার কাছে থেকে কিনবো, কে জমি রেজিষ্ট্রশন করে দিবে। সরকারী খাস জমি আমার দখলে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেছেন। আমার প্রয়োজন হওয়ায় পাঁচিল দিচ্ছি।
ইউপি সদস্য নুর ইসলাম ভগু বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি সরেজমিনে দেখেছি, সরকারী খাস জমিতে পাঁচিল নির্মান করছিল, আমি তাকে নিষেধ করেছি।
কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আতিকুর রহমান জুয়েল বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমাদের নিকট আসেনি। আসলে বিষয়টি দেখবো।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান ভুট্র বিটিসি নিউজকে জানান, অবরুদ্ধ পরিবার আমাকে জানালে আমি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কে সরেজমিনে দেখে  নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিতে বলেছি। সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত  নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে। অবরুদ্ধ পরিবারগুলো দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.