দামুড়হুদার সুবলপুরে দেড়শতাধিক পরিবার গৃহবন্ধি

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার সুবলপুর মাঝপাড়ার একমাত্র  চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় দেড় শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।আশাদুল হক গং নামে তাদের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো দুই দিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের চলাচলের জন্য ইটের সোলিং করা রাস্তা। রাস্তাটির উপর দিয়ে বাঁশের বেড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পুরো রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৫০/৬০ বছর ধরে ওই সব পরিবার রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করত। হঠাৎ গতকাল শুক্রবার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবলপুর মাঝপাড়ার মৃত তোফাজ্জেল হকের ছেলে আশাদুল হক গং রাস্তাটিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।
পরিবারগুলো বাধা দিতে গেলে আশাদুল হক বিটিসি নিউজকে জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার জমি আমি ঘিরে দিয়েছি। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় দেড়শতাধিক পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য আলামিন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বাব-দাদারা দির্ঘদিন যাবৎ চলাচল করছে এবং আমরাও চলছি। হঠাৎ করে আশাদুল লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কতৃর্ক ইটের সোলিং দিয়ে নির্মান করা রাস্তাটি ঘিরে দিচ্ছে।
অবরুদ্ধ পরিবারের আরেক সদস্য আআক্তারুজ্জান বাবু বিটিসি নিউজকে বলেন, এই মহল্লার একমাত্র ‘রাস্তা দিয়ে অনেক পরিবার চলাচল করে। এতদিন সে নিজের বলে দাবী করেননি। এখন তিনি নিজের দাবী করছেন। আশাদুল হক বিটিসু নিউজ কে বলেন আমার পৈত্রিক সম্পত্তি তে বাঁশে বেঁড়া দিয়েছে। কে কি ভাবে যাবে সেটা তাদের ব্যাপার। রাস্তার পুরো জমিটি আমার। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেছেন। আমার প্রয়োজন হওয়ায় এখন জমিটি নিয়েছি। এখানে দখলের প্রশ্ন আসবে কেন?।
ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি সরেজমিনে দেখেছি, রাস্তাটি ইটের সোলিং, সে রাস্তাটি ঘিরতে পারে না। আমি তাকে বলেছি ইট পারা রাস্তাটি কি ভাবে ঘিরছো,তখন বলেন এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি তাই বেড়া দিচ্ছি।
কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আতিকুর রহমান জুয়েল বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমাদের নিকট আসেনি। আসলে বিষয়টি দেখবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.