দামুড়হুদার চন্দ্রবাস গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, দেখার কেউ নেই !

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)প্রতিনিধি: পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের পশ্চিমপাড়ার প্রায় দুইশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে৷
জানা যায়, নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান সড়কের পশ্চিমে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছে না মহল্লাবাসি। সামান্য বৃষ্টিতেই অন্যতম এই ব্যস্ত রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায়। তাই এই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মহল্লাবাসির জীবন। জলাবদ্ধতার সঠিক কারণ নির্ণয় করে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দাবি তুলেছে এখানকার সচেতনমহল।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, অনেক দিনের সমস্যা এই জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে পানি আটকে থাকে দীর্ঘদিন। বৃষ্টি বেশি হলে পানি বাড়ির ভিতর উঠে পড়ে। এসময় পুরুষরা যেনতেনভাবে চলাচল করলেও মা বোনেরা বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। শুধু বর্ষা বলে না , অন্য সময়ও বৃষ্টি হলে এখানে পানি দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকে।
এবিষয়ে ভুক্তভুগী মহল্লাবাসীরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি এবং মশার জন্ম হয়। উপায় না পেয়ে আমাদেরকে হাঁটুপানি পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই সড়ক পেরিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি বাসাবাড়িতে উঠে যায়। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যাওয়ার সময় তাদের পোষাকও ভিজে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা থাকলেও নিরসনের কারো কোনও উদ্যোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মহল্লাবাসীর যাতায়াতের ভ্রোগান্তি লাঘবে উক্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে দামুড়হুদা উপজেলা  পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আলি মুনসুর বাবু ও উপজেলা নির্বাহী  অফিসার দিলারা রহমানের সু–দৃষ্টি কামনা  করেছেন স্থানীয় মহল্লাবাসি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.