দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় কালের স্বাক্ষী হিসাবে এখনও টিকে আছে নীলকুঠির প্রধান ফটক

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)  প্রতিনিধি:  চুয়াডাঙ্গা জেলার ইংরেজ আমলে নির্মিত বিভিন্ন স্হানের কুঠিবাড়ী গুলো নিশ্চিত হয়ে গেছে। সরকারী সিদ্ধান্তে কুঠি বাড়ীর ইট, কাঠ, গাছ বিক্রি হয়ে কুঠি বাড়ী গুলোর আর কোন চিহৃই নেই।

তবে এখনও কার্পাসডাঙ্গা নীল কুঠির ১’শএকর জমির মূল ফটক বা গেইট এখনও টিকে থাকলেও তাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস স্তুুপে পরিনত হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।

ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশ দখল করে ব্যবসার উদ্দ্যেশে বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কুঠিবাড়ী নির্মাণ করেন। এ রকমই একটি কুঠি বাড়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামৃড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা নীল কুঠি ছিল অন্যতম। ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ১’শ একর জমি নিয়ে নীল কুঠির অবস্হান।

বসবাসের জন্য মূল বিল্ডিং, নীল তৈরী কারখানা, ঘোড়াশালা, কবরস্হান সহ বেশ কিছু স্হাপনা ছিল কার্পাসডাঙ্গা কুঠি বাড়ীতে। গত ২৫/৩০ বছর পৃর্বে ও ভাঙ্গাচোরা অবস্হায় স্হাপনাগুলো টিকে থাকলে ও ২০০০ সালের পর থেকে  আস্তে আস্তে সে সকল স্হাপনার  ইট কাঠ বিক্রি হয়ে যায়।

কুঠি বাড়ীর জমিতে বর্তমানে ১টি কলেজ, ১টি গার্লস হাইস্কুল, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, দূর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র, পুলিশ ফাঁড়ি নির্মিত হয়েছে। বাকী জমিতে বিভিন্ন সরকার আশ্রয়ন প্রকল্প, আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করে ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্হা করেছে। এখানে প্রায় ৩’শ পরিবার বসবাস করে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা ( চুয়াডাঙ্গা ) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.