দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বিদ্যাসাগরের জন্ম দ্বি-শতবর্ষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও আর্ন্তজাতিক  কবি সম্মেলন

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি:  বিদ্যাসাগর এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে ১৮৫৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রক্ষণশীল সমাজের বিক্ষোভ এবং প্রচন্ড বাধার মুখে ঘটা করে এক বিধবার বিবাহ দেন। পাত্র ছিল সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের একজন সহকর্মী। তাছাড়া নিজের একমাত্র পুত্রের সঙ্গে বিধবার বিবাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত হননি।

বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়নে সাফল্য লাভ করায় পরে কুলীনদের বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ রোধ আইন পাস করার পক্ষে সরকারের কাছে আবেদন জানান। তাঁর দয়া এবং মানবিকতার জন্যে তিনি করুণাসাগর নামে পরিচিতি পান (তাঁকে এ বিশেষণ প্রথমে দিয়েছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত)। তিনি তাঁর দান এবং দয়ার জন্যে বিখ্যাত হয়েছিলেন।

তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি ঐতিহ্যিক এবং রক্ষণশীল পরিবারে এবং সমাজ সংস্কারের জন্যে তিনি যুক্তিও দিতেন হিন্দু শাস্ত্র থেকে; কিন্তু তিনি ছিলেন ধর্ম ও ঈশ্বর সম্পর্কে সন্দিহান মনের। তাঁর বোধোদয় গ্রন্থ যেমন তিনি শুরু করেছেন পদার্থের সংজ্ঞা দিয়ে। পরে সংজ্ঞা দিয়েছেন ঈশ্বরের, যাঁকে তিনি বলেছেন সর্বশক্তিমান, সর্বত্রবিরাজমান চৈতন্যস্বরূপ। পরে এ গ্রন্থে তিনি যা কিছু দেখা যায়, স্পর্শ করা যায়, অনুভব করা যায়, তেমন সব বিষয়ের সংজ্ঞা দিয়েছেন; কিন্তু ঈশ্বর বা কোনো অতিলৌকিক শক্তির নামও উল্লেখ করেননি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম তার  মূল্যবান বক্তব্যেই বলেন। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম- দ্বি- শতবর্ষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও আর্ন্তজাতিক কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কার্পাসডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি মো: রবিউল হোসেন শুকলালের সভাপতিত্বে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইয়া হিয়া খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিঙ্কন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার  ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর কবির, বিশিষ্ট  কবি ও সাহিত্যিক মামুন আজাদ, কার্পপাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এম এ গফুর, নজরুল গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ আলী।

এছাড়াও আর্ন্তজাতিক কবি সম্মেলনের উপস্হিত ছিলেন খোলা চিঠির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক তারক দেবনাথ, সহ সম্পাদক মেঘছায়া সরকার, আনন্দম পত্রিকার সম্পাদক রাম প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দিনযাপন পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট কবি ও গল্পকার  দিপেন ভাদুড়ী, কবি ও শিক্ষক এমএ ইংলিশ দেশ ও বিদেশ সুকমার মুখোপাধ্যায়, ঠিক সময় পত্রিকার সম্পাদিকা কবি ও শিক্ষিকা কাজল বিশ্বাস, অধ্যাপিকা ও কবি নৈর্ঝতি বিশ্বাস, বিশিষ্ট কবি বিকাশ বিশ্বাস, কবি ও সাংবাদিক শিবব্রত গুহ, বিশিষ্ট কবি ও গল্পকার শিশির চন্দ্র, টিভি সঞ্চালক বাচিক শিল্পী নন্দিনী লাহা প্রমুখ।

এ সময় উপস্হিত  ছিলেন  জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম সদস্য জাহিদুর রহমান মুকুল, ওয়ার্ড আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক  শওকত আলী, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, সহ- সভাপতি রফিকুল ইসলাম,  যুবলীগ নেতা বখতিয়ার বকুল, শরিফ রতন, মেহেদি মিলন, জাফর  আক্তার, মিন্টু লিটন, আলমগীর, তারিকুল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সানাউল কবির শিরিন, শেখ শাহিন, রাসেল রাজ সহ কথা দিয়ে কথা রাখা শ’শ মানুষের ভিড়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা ( চুয়াডাঙ্গা ) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.