দামুড়হুদা কৃতিসন্তান মেজর ডা: সৈকত পারভেজের এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন 

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হরিরামপুরে  মেধাবী ছাত্র এলাকার কৃতিসন্তান মেজর ডা: সৈকত পারভেজ কৃতিত্বের সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সর্বোচ্চ পরীক্ষা (নাক,কান,গলা ও হেডনেক সার্জারী বিভাগে) এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তার এ অর্জনে কার্পাসডাঙ্গা তথা দামুড়হুদা উপজেলা বাসীর গর্বিত।
ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী এই চিকিৎসক ১৯৮৪ সালে ডিসেম্বর মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গর্বিত পিতা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী এবং মাতা শেফালী পারভীন দম্পত্তির কনিষ্ঠ পুত্র।
তরুণদের আইকন মেজর (ডাক্তার) সৈকত পারভেজের স্ত্রীও একজন গাইনীকোলজিসট। তাদেন ঘরে রয়েছে দুই কন্যা সন্তান। ছাত্র জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্লাসের প্রথম স্থান অধিকারী এই চিকিৎসক ১৯৯৭ সালে ক্লাস ৮ম শ্রেনীতে  স্কলার শিপ পান। ১৯৯৯ সালে এসএসসি ও ২০০১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অসামান্য কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি ওই বছরে ইঞ্জিনিয়ার  হওয়ার জন্য কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ  ভর্তি হলেও বাবা, মা, আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসীর উৎসাহে ২০০২ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এ ভর্তি হন। ছাত্র জীবনে তিনি ছিলেন একজন জাতীয় পর্যায়ের বিতার্কিক। একজন নিয়মিত রেডিও ও টেলিভিশন উপস্থাপক।
২০০৮ সালে এমবিবিএস  এবং ২০০৯  সালে ইন্টারনশীপ শেষে ২০১০ সালে দেশ মাতৃকার সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ,আর্মি মেডিক্যাল কোর এ যোগদান করেন। চাকুরীরত অবস্হায় সেনাবাহিনীর এই মেধাবী কর্মকর্তার  কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য  ২০১৩ সালে আইভরি কোসট এ জাতিসংঘ শান্তি পদক, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের দূর্গম পাহাড়ের চরম সাহসিকতার উত্তরণ পদক এবং ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী জৈষ্ঠতা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ২০১৬  সালে নাক, কান, গলা বিভাগে সফলতার সাথে ডি এল ও ডিগ্রি অর্জন করে দেশের বেশ কয়েক টি সামরিক হাসপাতালে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এলাকার দায়িত্বশীল এই চিকিৎসক গরীব এবং অসহায় মানুষের জন্য তার নিজ গ্রাম হরিরামপুর এ প্রায় প্রতি বছর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, যশোর এর নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ এবং আর্মি মেডিকেল কলেজ,যশোরের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই বরেণ্য  চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, জীবনে সফলতা পেতে হলে স্বপ্ন দেখাটা খুবই জরুরী, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। যে কোন চেলেনজ কে দৃড়তার সাথে মোকাবিলা করতে হবে। ছাত্র দের মনে রাখতে হবে  Success never comes accidentally. তিনি আরও বলেন আমার এলাকার মানুষ এখনো সামান্য কিছু হলেই চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়, যা আমাদের চিকিৎসকদের জন্য চরম লজ্জা ও অস্বস্তির। যেদিন আমার দেশের মানুষদের পরিপূর্ণ আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবো সেদিন ই নিজেকে শতভাগ সফল মনে করবো। তিনি এলাকা তথা চুয়াডাঙ্গা বাসীর নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.