দাবী পূরণ না হওয়ায় সিলেট মেডিকেলে আবারও ধর্মঘট

সিলেট ব্যুরো: নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্চিত ও মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরি ও হৃদরোগ বিভাগ ছাড়া আর কোনো বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না। এতে স্বাস্থ্যসেবায় তৈরি হয়েছে সংকট।
তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
গত সোমবার (০১ আগস্ট) রাতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার ধর্মঘটে দুর্বিষহ অবস্থা হয় হাসপাতালের জরুরি সেবায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কলেজে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনে মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে সমঝোতা বৈঠক হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় বিকেল ৫টা থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়।
আজ বুধবার (০৩ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ে আজও দাবি পূরণ হয়নি। আজ এখনো নতুন কর্মসূচি না দিলেও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
তবে জরুরি বিভাগ ও হৃদরোগ বিভাগের গুরুত্ব বিবেচনায় তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত ও মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে। এই মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুই শিক্ষার্থীকে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্ত্যক্তের ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল কলেজে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ, শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সিলেট ব্যুরো প্রধান মো. জাকিরুল হোসেন জাকির। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.