প্রথমার্ধের শেষ দিকে দলকে এগিয়ে নিয়ে চার ম্যাচের গোল-খরা কাটান কিলিয়ান এমবাপে। বিরতির পর ব্যবধান বাড়ান ফেদে ভালভের্দে ও জুড বেলিংহ্যাম।
গোল না পেলেও একটি অ্যাসিস্ট করেন গোটা ম্যাচে দারুণ খেলা ভিনিসিউস জুনিয়র।
সবশেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগে লিগের গত রাউন্ডে ভিনিসিউসের হ্যাটট্রিকে ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল রেয়াল।
এবার লেগানেসের বিপক্ষে আধিপত্য করে গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখে রেয়াল। স্বাগতিকদের ৪ শটের সবকটিই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
পঞ্চম মিনিটে লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শটটি নেন এমবাপে। তার সেই প্রচেষ্টা অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে লেগানেসের জালে বল পাঠিয়ে উদযাপন শুরু করেন এমবাপে। তবে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
২২তম মিনিটে লেগানেসের মুনির এল হাদ্দাদির শট লাগে ক্রসবারে, যদিও আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন তিনি।
২৫তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে কয়েকজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে আর্দা গিলেরের নেওয়া শট ঠেকান লেগানেস গোলরক্ষক। ৩৯তম মিনিটে এই তরুণের ফ্রি-কিকও পাঞ্চ করে ফেরান মার্কো দিমিত্রোভিচ।
৪৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় রেয়াল। যেখানে যথেষ্ট দায় ছিল লেগানেসের রক্ষণের। বক্সের ডান দিকে আলগা বল পেয়ে ভিনিসিউস পাস দেন অন্য পাশে। ফাঁকা জালে বল পাঠান এমবাপে।
রেয়ালের হয়ে লা লিগায় তার গোল হলো ৭টি।
দ্বিতীয়ার্ধেও যথারীতি আক্রমণে আধিপত্য করে রেয়াল। ৬৬তম মিনিটে চমৎকার ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। ফ্রি-কিকের জন্য পজিশন নেন অধিনায়ক ভালভের্দে। দানি সেবাইয়োসের ছোট্ট টোকায় বল থামান গিলের, আর নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুয়ের তারকা।
৭৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত আরও। ভিনিসিউসের পাসে কাছ থেকে গিলেরের কোনাকুনি শট পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
৮১তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে এমবাপেকে চমৎকার পাস দেন ভিনিসিউস। কিন্তু বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষক বরাবর শট করেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
৮৫তম মিনিটে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন বেলিংহ্যাম। লুকা মদ্রিচের কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি লেগানেস। বক্সের বাইরে থেকে ব্রাহিম দিয়াসের জোরাল শটে বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বল হেডে ফাঁকা জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার।
ওসাসুনার বিপক্ষে দৃষ্টিনন্দন গোলে মৌসুমে প্রথমবার জালের দেখা পাওয়ার পরের ম্যাচেই আরেকটি গোল করলেন বেলিংহ্যাম।
এরপরই তাকে তুলে নিয়ে এন্দ্রিককে নামান আনচেলত্তি। বাকি সময়ে উল্লেখযোগ্য আর কিছু হয়নি।
১৩ ম্যাচে ৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে রেয়ালের পয়েন্ট হলো ৩০।
এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। তাদের সমান ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.