দশ দফা নির্দেশিকা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, করোনা এড়িয়ে সতর্কভাবে হোক দুর্গাপুজো
২. দর্শনার্থীদের এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ মাস্ক না পরলেও নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে ৷ পুজো উদ্যোক্তা এবং পুলিশের উদ্যোগে মণ্ডপে মাস্ক রাখতে হবে, যাতে কারও কাছে মাস্ক না থাকলে তাঁকে মাস্ক দেওয়া যায় ৷
৩. মণ্ডপের অনেকটা আগে থেকেই দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ মণ্ডপের ভিতরে ভিড় এড়াতে প্রবেশ এবং বেরনোর আলাদা পথ রাখতে হবে ৷ ভিড় এড়াতে ব্যারিকেড, দাগ দিয়ে মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিকরণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷
৪. বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে ৷ এদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড দিতে হবে ৷ পুলিশকর্মী যাঁরা পুজোর সময় দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদেরকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
৫. অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুরখেলাতেও ভিড় এড়াতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ছোট ছোট দলে ভাগ করে অঞ্জলির আয়োজন করার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ফুল, বেল পাতা বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
৬. প্রসাদ বিতরণে ভিড় এড়াতে হবে ৷ আবাসনের পুজোতেও এই নির্দেশিকা মানতে হবে ৷ একই সময়ে সবাই সিঁদুরখেলায় অংশ না নিয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিঁদুরখেলার অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
৭. বিসর্জনেও বেশি মানুষ নিয়ে যাওয়া যাবে না ৷ পাশাপাশি একই এলাকার সব পুজোর বিসর্জনও একদিনে হবে না৷ ঘাটগুলিকেও স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
৮. পুজোর সময় আলাদা করে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না৷ অতিরিক্ত ভিড় এড়ানোর জন্যই এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
৯. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.