দল সুসংগঠিত করেই নির্বাচনে যাব: মহাসচিব মির্জা ফখরুল

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: আজ শনিবার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে বিএনপির প্রাক্তন মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করছেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে।

বর্তমানে বিএনপি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হবে।

মির্জা ফখরুল নিউজিল্যান্ডের বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য দোয়া এবং হতাহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারের এ পাতানো নির্বাচন ফাঁদে বিএনপি আর পা দেবেনা। ভবিষ্যতে দল সুসংগঠিত করেই তবে আমরা নির্বাচনে যাব।

এ সময় যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র খোন্দকার আব্দুল হামিদ খান ডাবলু, জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, জামিলুর রশিদ খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা ও আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ।

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.