দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে পর্দা উঠল অলিম্পিকের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: জমকালো আতশবাজি ও গ্রাফিক্যাল আর্ট দিয়ে শুরু হলো বিশ্বের সর্বাধিক বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমস। এক বছর স্থগিত থাকার পর নানা বিতর্কের মধ্যে শুরু হলো এই অলিম্পিক।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দর্শকদের অনুপস্থিতিতে কেবল মাত্র কয়েক’শ গণমান্য ব্যক্তির সামনে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
এবার, টোকিও অলিম্পিক কোভিড মহামারির কারণে খুব জটিল হয়ে উঠেছে। অন্যান্য কারণেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আয়োজকদের। জনমত জরিপগুলোতে জাপানের অধিকাংশ নাগরিক চেয়েছিলেন মহামারির মাঝে এই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত  না হোক।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান জাপানের সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে আশ্বাস দেন-দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আয়োজকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। আয়োজকরা দর্শকদের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
সম্রাট নারুহিতো টোকিওর অলিম্পিকের উদ্বোধনী ঘোষণার আগে সেই ১৯৬৪ সালে তার দাদা সম্রাট হিরোহিতো সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী ঘোষণা করেছিলেন। তখন জাপানের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার অর্থনীতির এক নতুন শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল এই অলিম্পিক গেমস।
যে ভেন্যুতে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হচ্ছে তার ধারণ ক্ষমতা ৬৮ হাজার। কিন্তু অনুষ্ঠানে হাজির থাকছে এক হাজারেরও কম মানুষ, যাদের বেশিরভাগই আমন্ত্রিত ভিআইপি। আয়োজকরা আশা করছেন, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর যখন বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা শুরু হবে তখন এবারের অলিম্পিকস নিয়ে সমালোচনাগুলো কমে আসবে।
এবারের অলিম্পিকে ৩৩টি খেলার ৫০টি ডিসিপ্লিনে ৩৩৯টি ইভেন্ট তথা স্বর্ণপদকের জন্য লড়বেন প্রায় ২০৫টি দেশের ১১ হাজার ৩২৪ জন ক্রীড়াবিদ। এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে ৬ জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.