দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশের অনুমতি পেলেন পুতিন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দেশটির সরকার পুতিন এবং অন্যান্য রুশ কর্মকর্তাসহ সব আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের কূটনৈতিক দায়মুক্তি (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) দিয়েছে। কিছুদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি)।
জাতিসংঘের কনভেনশনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কূটনীতিককে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি বা কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রদানের অর্থ হলো তাকে গ্রেফতার বা আটক করা যাবে না। তার নিরাপত্তার দায়িত্ব ওই দেশের সরকারের। দক্ষিণ আফ্রিকা যেহেতু আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র তাই সংস্থাটি থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দেশটিতে ভ্রমণ করলে আটক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতো; কিন্তু ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি পাওয়ায় এখন আর সেই ঝুঁকি থাকছে না।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক প্রকাশনা ডেইলি ম্যাভেরিকের মতে, দেশে ব্রিকস-সম্পর্কিত ইভেন্টগুলোতে সমস্ত আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাদের জন্য কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা এবং বিশেষাধিকার আইনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী নালেদি পান্ডোর মাধ্যমে একটি গেজেটেড নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
নোটিশটি ১৯ মে স্বাক্ষরিত এবং সোমবার গেজেট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুতিন এবং তার আন্তর্জাতিক সমকক্ষদের আইনের ধারা ৬(১)(ক) এর শর্তে প্রদত্ত অনাক্রম্যতা এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
পান্ডোরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নোটিশটি ‘রুটিন’ ছিল এবং যখনই দক্ষিণ আফ্রিকায় একই ধরনের আন্তর্জাতিক সভা হয় তখনই এ ধরনের নোটিশ জারি করা হয়।
আইনে বলা হয়েছে, এই অনাক্রম্যতা জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের, কোনো বিশেষ সংস্থা বা সাধারণ সংস্থা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা বৈঠকে অংশগ্রহণকারী কোনো রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদেরকে প্রদান করা হয়।
নথিতে আরও লেখা হয়েছে- ‘ব্যক্তিগত গ্রেফতার বা আটক থেকে এবং তাদের ব্যক্তিগত ব্যাগেজ বাজেয়াপ্ত করা থেকে অনাক্রম্যতা, কথা বলা বা লিখিত এবং প্রতিনিধি হিসেবে তাদের ক্ষমতায় তাদের মাধ্যমে করা সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে, প্রতিটি ধরনের আইনি প্রক্রিয়া থেকে অনাক্রম্যতা প্রদান করা হলো।’
মার্চ মাসে হেগের আন্তর্জাতিক আদালত পুতিনের গ্রেফতারের জন্য একটি পরোয়ানা জারি করেছিল এবং যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা এ সংগঠনের সদস্য, তাই পুতিন দেশে থাকাকালীন তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য। তা সত্ত্বেও ব্রিকস জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা পুতিনকে আগস্টে শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়েও আইনি মতামত চাইছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই ব্রিকসে পুতিনের সম্ভাব্য উপস্থিতি বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এটি এখন নিশ্চিত করা হয়েছে যে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেবেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.