তৌহিদুল চেয়ারম্যান পুনরায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত‍্যাশী 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছী গ্রামের সম্ভান্ত ঘরের  সন্তান। যিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু একজন ত‍্যাগী, নির্যাতিত বহু মামলা হামলার স্বীকার রাজনীতিবিদ পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল পুনরায় নৌকার মনোনয়ন প্রত‍্যাশী।
তার রয়েছে টিপিএল ব্রিকস নামে ইট ভাটা। বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে আওয়ামী লীগ পাগল এ নেতা ইউনিয়নের মানুষদের দিয়ে যাচ্ছেন সেবা।
আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বেড়েছে আরো সেবার মান। ২১ সালের তৃতীয় ধাপে ঘোষিত তফসিলে নির্বাচনের ব‍্যাপারে এলাকার অনেক ভোটার জানান, তৌহিদুল চেয়ারম্যান মহদীপুর ইউনিয়নের জন‍্য আর্শিবাদ। পূর্বের অন‍্যান‍্য চেয়ারম্যানদের চাইতে তৌহিদুল চেয়ারম্যান ভালো। উইং বয়সে সে সফলতার সঙ্গে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারেরা আরো জানান, একজন মানুষ সকলের ভালো হতে পারে না। তবে তৌহিদুল চেয়ারম্যান প্রায় মানুষের মন জয় করেছেন। যাকে যে ভাবে পেরেছেন সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। কারও সঙ্গে কখনও তিনি খারাপ আচারণ করেননি।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে  বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ২০১৭ সালে জেলার মাঝে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে পলাশবাড়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত এ নেতা ১৯৯৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগেরও সহ- সভাপতি নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই সালের অক্টোবর মাসে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হন এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস‍্য পদ লাভ করেন।
২০০৫ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং ২০১৬ ইং সালের ২৫ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সেই সাথে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত‍্যাহার করেন।
এছাড়া এ রাজনীতিবিদ ৯০ এর সৈরচার বিরোধী আন্দোলন, ৯৬ এর গণ আন্দোলনে বিডিআর কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ও বাড়ী ঘর ভাঙচুর করা হয়। ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর অপারেশন ক্লিনহার্টে নির্যাতনের শিকারসহ পুনরায় বাড়ী-ঘর ভাঙচুর চালায়। এতে করে বহু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার,আত্মীয়, স্বজন থেকে চাপ দেয় রাজনীতি ছেড়ে দিতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ পাগল তৌহিদুল ইসলামকে কেহই বাঁধা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সরাতে পারেনি।
আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে ২০০৪ সালের ১১ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া দিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলায় গড়ে তুলেছেন গণঅনাস্থা ও মানবপ্রাচীর কর্মসূচি। তারবিনিময়ে সেই সময়ের বিডিআর -পুলিশ কর্তৃক প্রধান আসামী করে ৩ টি মামলার বোঝা নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
১/১১ এর প্রক্ষাপটে সেই সময়ের যৌথবাহীনি এ নেতার বসতবাড়ী, বাসায় ব‍্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
নির্যাতনের শিকার তৌহিদুল ইসলামকে আওয়ামী রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ করতে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার ১৯ টি মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপটে এ নেতার বাসা-বাড়ীতে ব‍্যাপক ভাঙচুর চালায়। শেষে এসবের প্রতিবাদে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বর্নিল এ রাজনৈতিক জীবনে তৌহিদুল চেয়ারম্যান এক ছেলে দুই মেয়ের জনক।
গাইবান্ধা এশিয়া ইউনির্ভাসিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস পাশ করেন। ইন্সট্রাক্টর পদে যোগদান করেন এম, এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজে। উপজেলা কারিগরি শিক্ষক সমিতির সভাপতি, পল্লী বিদ‍্যুৎ জামে মসজিদের সভাপতি, ঠুঠিয়াপাকুর ফয়জুননেছা মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি, গূধারীপুর অটিজম স্কুলের সদস‍্য, সাপ্তাহিক পলাশবাড়ী পত্রিকার উপদেষ্টা ও গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস‍‍্যসহ
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক  গঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
ত‍ৌহিদুল ইসলাম মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান, আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি অনেক মামলা-হামলার শিকার হয়ে আজও টিকে আছি। যতদিন বাঁচব আল্লাহ্ তায়ালা যেন আমাকে আওয়ামী লীগ পাগল করেই রাখেন। জাতীর পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  কন‍্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধান  সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যদি পুনরায় নৌকার মনোনয়ন দেন, তবে আমি হান্ডেট পার্সেন্ট আশাবাদী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.