তেঁতুলিয়ায় কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট পদে চাকুরি করছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট (সিইএ) পদে মো:সালেহ আকরাম রনি নামে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছেন নিয়োগটি প্রকল্পের,কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন না থাকায় বিষয়টি গোপন ছিল। পরে জানতে  পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণি পুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পে কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট (সিইএ) পদে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়ে ৪ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে কাজে যোগদান করে সালেহ আকরাম রনি।
তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার সাহেবজোত এলাকার বশির আলমের ছেলে।এর আগে ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহো ঘটনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সালেহ আকরাম। তার সিপাহি নং-৭০৫২৪। সাত বছর হাজত খেটে ফিরে আসে।
কিছু দিনের মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে চাকুরি হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তিতে শর্তাবলীর নয় নম্বরে লিখা আছে আদালত কতৃক দোষি সাব্যস্ত অথবা অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট পদের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু ওই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিভাবে নিয়োগ পেয়েছে প্রশ্ন জনমনে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রতন কুমার ঘোষ বিটিসি নিউজকে জানান, কিছু দিন হল আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট পদে নিয়োগ কিভাবে হয়েছে সেটা জানা নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি সোহাগ চন্দ্র সাহা বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা শুধু মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছি নিয়োগ দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
তিনি আরো বলেন,এটি প্রকল্পের নিয়োগ, কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন না থাকায় বিষয়টি গোপন ছিল। পরে জানতে  পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.