তুর্কি বাহিনীর হামলায় ৩ শতাধিক সিরীয় সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে নতুন করে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। সিরিয়ার ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে স্থল ও বিমান হামলা করেছে তুর্কি বাহিনী। আঙ্কারা জানিয়েছে, তাদের পাল্টা হামলায় আসাদ বাহিনীর ৩০৯ সেনাকে ‘নির্মূল’ করা হয়েছে। সাথে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক ডজন সামরিক যানবাহন।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের মতে, তারা পাঁচটি সামরিক হেলিকপ্টার, দুটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ২৩টি ট্যাঙ্ক এবং ২৩টি হাউইটজার কামান ধ্বংস করেছেন।

তুর্কি সংবাদমাধ্যমগুলোতেও আসাদের সামরিক যানে বিস্ফোরণের ছবি দেখানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী ) ইদলিবে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে ৩৩তুর্কি  সেনাকে হত্যার পর এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।  এই হামলার পরই পাল্টা হামলা শুরু করে তুরস্ক। এতে অন্তত ১৬ সিরিয় সেনা নিহত হয় বলে  জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা দফতরের বরাতে সরকারি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, ১ হাজার ৭০৯ জন সিরিয় সেনাকে নিষ্ক্রিয় করেছে তুর্কি সেনারা। নিষ্ক্রিয় বলতে সাধারণত নিহত অথবা বন্দিদের বুঝিয়ে থাকে তুরস্ক।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিদ্রোহীদের হটিয়ে মাস তিনেক আগে সরকারি বাহিনীর দখলে নেয়া বেশ কিছু অঞ্চলে সিরিয়ার সামরিক অবস্থানে ড্রোন ও গোলা বর্ষণ করে তুর্কি বাহিনী।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিব প্রদেশ পুনর্দখলের জন্য রাশিয়ার সামরিক সমর্থন নিয়ে ব্যাপক যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইদলিব হচ্ছে সিরিয়ার ভেতরে বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সবশেষ ঘাঁটি। এখানে একাধিক তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রোহী, জিহাদি ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী রয়েছে। রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় বিরোধীদের শেষ ঘাঁটি ইদলিবের দখল নিতে হামলার তীব্রতা বাড়ায় আসাদবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিমান হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদেরকে তুরস্কের ভেতর নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের হাতয় প্রদেশের গভর্নর রাহমি দোগান।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসে এরদোয়ান সরকার। দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কমান্ডাররা সিরিয়ার সীমান্ত থেকে আসাদবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় স্থল ও বিমান হামলার নির্দেশনা দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.