তুরস্কে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বীর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এমন সময় নির্বাচনী প্রচারণা ও নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা। এমন সময় এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিরিচদারোগলু বলেছেন- জয়ী হলে তিনি তুরস্কে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। 
ছয় দলের বিরোধী জোটের সমর্থন নিয়ে তিনি এরদোগানের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন।
তিনি বিবিসিকে বলেন, তরুণরা গণতন্ত্র চায়। তারা চায় না যে, সামান্য টুইটের কারণে পুলিশ ভোরবেলা তাদের বাড়িতে অভিযান চালাক।
কিরিচদারোগলু ১৪ মে’র নির্বাচনে এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। জনমত জরিপে তিনি এরদোগান থেকে সামান্য এগিয়ে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কে জয়ী হবেন তা নির্ধারণে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন আয়োজন হবে।
কামাল বলেন, বর্তমানে তুর্কিরা প্রেসিডেন্টকে অপমান করার জন্য জেলে যাচ্ছেন। আমি ক্ষমতায় গেলে তরুণরা নির্দ্বিধায় আমার সমালোচনা করতে পারবে। আমি নিশ্চিত করব যে, তারা যেন সেই অধিকার পায়।
৭৪ বছর বয়সী কামাল তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল ‘রিপাবলিকান পিপলস পার্টি’র (সিএইচপি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও তার সমর্থকরা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এ নিয়ে কামাল বলেন, তুরস্কের রাজনীতিতে থাকা মানেই ঝুঁকির জীবন বেছে নেওয়া। এরদোগান ও তার মিত্ররা যাই করুক না কেন আমি আমার পথে হাঁটব। তারা আমাকে থামাতে পারবে না। তারা আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না। আমি এই জাতির কাছে সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছি। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.