তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে একমত বাইডেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টে। এরদোগানকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে একমত হয়েছেন জো বাইডেন।
সোমবার এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়ে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্ক সবসময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সমুন্নত রাখতে চায়। তবে তিনি টুইট বার্তায় তুরস্কের নাম উল্লেখ করেননি।
তুরস্ক-মার্কিন সম্পর্কে ছেদ ধরার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে- পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সিরিয়ান শাখা ওয়াইপিজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা, গুলেনিস্ট টেরর গ্রুপের (এফইটিও) প্রতি এরদোগানের অবস্থান, রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় ও তুরস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা।
পিকেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত। এর প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন আঙ্কারার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর একটি বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় ওয়াইপিজির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছিল।
অন্যদিকে, তুরস্ক উত্তর-সিরিয়ায় ওয়াইপিজির উপস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আঙ্কারা দীর্ঘদিন ধরে ওয়াইপিজির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। গোষ্ঠীটি তুরস্কের জন্য হুমকি।
দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াইপিজিকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও ট্রাকবোঝাই সামরিক সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়াইপিজিকে সহযোগিতা করছে।
কিন্তু তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনো মানে হয় না। (সূত্র: ডেইলি সাবাহর)।# 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.