তুরস্কের নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে মুদ্রাস্ফীতি?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের নির্বাচনের আর এক মাসেরও কম সময় বাকী। দুই দশক ক্ষমতায় থাকার পর ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন এরদোগান।
এরদোগানকে হারাতে জোটবদ্ধ হয়েছে বিরোধী ছয়টি রাজনৈতিক জোট। প্রেসিডেন্ট পদে এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন সিএইচপির নেতা কিরিচদারোগলু।
তুরস্কে বর্তমানে অন্যতম বড় সমস্যা হলো মূদ্রাস্ফীতি। মূদ্রাস্ফীতি মাড়িয়ে ফের তুরস্কের মসনদে এরদোগান বসতে পারবেন কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়।
গত ১৪ এপ্রিল এক নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের মূদ্রাস্ফীতি এক ডিজিটে নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়েছেন এরদোগান।
এর আগে পূর্ব মালাতইয়া প্রদেশে একটি সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আমাদের দেশকে বিশ্বের বড় ১০টি অর্থনীতির একটিতে পরিণত করতে আমরা বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগ করেছি।
বিশ্বের বড় বড় প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি তুরস্ক বাস্তবায়ন করছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহাকাশ, হাই-টেক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির পথে এগিয়ে যাবে তুরস্ক।
আঙ্কারা প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক তথ্য বলছে, তুরস্কের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ৫৭ শতাংশেরও বেশি; যা গত দুই যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সম্প্রতি জনদুর্ভোগ কমাতে পেনশন বৃদ্ধি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ম বেতনও দিগুণ করেছেন। মুদ্রাস্ফীতির তালে তাল মেলাতে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বেশ ভর্তুকিও দিয়েছে এরদোগান সরকার। তবুও যেন লাগাম টানতে পারছে না তুরস্ক। দেশের অর্থনীতির এমন অবস্থার মধ্যে আগামী নির্বাচনে নিজের গদি ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। (সূত্র: ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.