তীব্র শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, দুশ্চিন্তায় কৃষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের কৃষকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কয়েকদিনের টানা ঘন কুয়াশায় শীতকালীন সবজি খেত ও বোরো বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় কীটনাশক ছিটিয়ে ও পলিথিন দিয়ে ঢেকে এসব রক্ষা করতে হচ্ছে। তবুও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খেতের ফসল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ লক্ষে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার হেক্টর জমির বীজতলা তৈরি হয়েছে। কিন্তু শীতে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন কৃষক। প্রচণ্ড শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম যেন না হয় সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।
কৃষি অফিস থেকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, রাতে পানি ঢুকিয়ে সকালে ড্রেনের মাধ্যমে বের করে দেওয়াসহ পটাশ অথবা জিপসাম সার অল্প পরিমাণে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ বছর জেলার সদর উপজেলার মোঘলহাট, দুড়াকুটি, বড়বাড়ি, আদিতমারীর কমলাবাড়ি, কুমড়িরহাট, ভেলাবাড়ি, হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া, ভেলাগুড়িসহ পাটগ্রাম উপজেলার তিন বিঘা করিডোর এলাকা এবং জেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি আবাদের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, করলা, পটোল, টমেটো,আলু, পালং ও লালশাকসহ হরেক রকম শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এবারে দাম ভালো হওয়ায় কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।
কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় এসব খেত কিছুটা নষ্ট হতে বসেছে। বাধ্য হয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে এবং পলিথিন দিয়ে ঢেকে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকেও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, কয়েকদিন কুয়াশা বেশি পড়ছে। কৃষকের বোরো বীজতলা ক্ষতি না হয় সে জন্য ইউনিয়ন পর্যায়েও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পলিথি দিয়ে ঢেকে রাখা, রাতে পানি ঢুকিয়ে সকালে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু দিনের বেলা রোদ দেখা দিচ্ছে সেহেতু শীতকালীন সবজির তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা সজাগ রয়েছি।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উত্তরে কয়েকদিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী কয়েদিন লালমনিরহাটসহ এই অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে (৬-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। স্থান ভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজমান থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.