তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে শিগগিরই : চীনা রাষ্ট্রদূত

নীলফামারী প্রতিনিধি: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এখন চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ। সেটি শেষ হলে দুই দেশের সরকারের চেষ্টায় প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
আজ রবিবার (০৯ অক্টোবর) সকালে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকা এবং তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শন শেষে নীলফামারীর ডালিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ সব কথা বলেন তিনি।
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সব দিক দিয়ে পরিবর্তন ঘটবে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী নদী শাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো হবে, নদীর দুই পাড়ে বিদ্যমান বাঁধের মেরামত করা হবে, নদীর দুই পাড়ে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হবে, ৫০টি গ্রয়েন স্থাপন করা হবে, ড্রেজিংয়ের মাটি ভরাট করে নদীর দুই পাড়ে ১৭০ বর্গকিলোমিটার ভূমি উদ্ধার করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৮৩ মিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, জমি উদ্ধার, নৌ-চলাচল বৃদ্ধিসহ তিস্তাপাড়ে কৃষি অঞ্চল, শিল্প-কারখানা, আবাসন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে এবং তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হবে। চিলমারী বন্দর থেকে ডালিয়ায় তিস্তা বাঁধ অংশে তিনটি নৌ-টার্মিনাল তৈরি করা হবে। নদীর দুই পাড়ে হাইওয়ে তৈরি করা হবে, যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এরশাদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.