তিস্তার চরে স্কোয়াশ চাষ!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: রংপুরের গংগাচড়া লক্ষিটারী ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর হোসেন (৫০)। ইডিপি প্রকল্প থেকে সহায়তা নিয়ে ৩ বছর ধরে স্কোয়াশ চাশ চাষ করছে তিস্তার চরে।
এ বছর তিস্তার চরে ৩৫ শতক জমিতে  স্কোয়াশ লাগিয়েছেন। প্রতিবছরের চেয়ে তুলনা মূলক দাম কম। অনেকে জানেনা স্কোয়াশ কি? এ জন্য বিক্রিও হচ্ছে কম।’ খেত থেকে কিনছে শৌখিন অনেকে।
এ বছর আলমগীর হোসেন রংপুর পৌর বাজার থেকে স্কোয়াশ’র বীজ নিয়ে এসে তিস্তার চরে ৩৫ শতক জমিতে  চাষ করে। এতে ব্যায় হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। বিক্রি প্রতিবছরের মত স্বাভাবিক হলেও এনজিওর সহায়তা না থাকায় লাভের দেখা পাচ্ছে না তিনি। প্রতিপিস ক্লোয়াশ ১০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করছে। প্রতিবছর এনজিও সকল প্রকার খরচ দিত, এবার এনজিওর সহযোগিতা না থাকায় উৎপাদন ব্যায় বেশি।বীজ ও নিন্মমানের।
আলমগীর হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তিন বছর থেকে ইডিপি প্রকল্প’র অধীনে সয়াহতা নিয়ে স্কোয়াশ চাষ করে আসছি। বীজ থেকে শুরু করে সকল প্রকার সহায়তা দিয়ে আসছিল ইডিপি। প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যাওয়ায় এ বছর সেখান থেকে সহায়তা ছাড়াই স্কোয়াশ চাষ করি। এতে প্রচুর খরচ হয়।’ পাইকারদের কাছে সরবরাহ করতে পারছি কম। তাই মোটামুটি ক্ষতির আসংখ্যাই বেশি।
খুচরা বিক্রেতা আয়নাল হক জানায়, ১৫টাকা দরে কিনে ২০/২৫টাকা দরে বিক্রি করি। অনেকে এটা কি? জানেনা। কাকিনা থেকে রংপুরগামী যাত্রী শখের বসত পছন্দ করে কিনতেছে। যারা একদিন নিয়ে যায় পরবর্তীতে আবারও আসে।
শখের বসত কিনতে আসা মাসুদ রানা, এরশাদুল হক,রহমান আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- প্রথমে মনে করেছি শষা। পরবর্তীতে দেখি এটা স্কোয়াশ নামে নতুন একটা সবজি। শখের বসত কিনলাম। শুনলাম এটা অনেকটা লাউয়ের মত।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ধারাবাহিক ভাবে সহযোগীতা পেলে এ ফসল চাষে ভাগ্য বদলাতে পারে তিস্তা চরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের।জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও সরবরাহ করা সম্ভব। এর জন্য কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.