তিন সেনাকমাণ্ডের বৈঠক আগামী সোমবার

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: আগামী সোমবার সকাল দশটায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছে ইস্টার্ন, ওয়েস্টার্ণ ও নর্দান সেনাকমাণ্ডেরা। খুব সম্ভবত সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পৌরহিত্য করবেন বলে সংবাদ সংস্থা মারফত জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি এরকম ধরনের বৈঠক শেষ কবে হয়েছিল সঠিক বলা যাচ্ছে না। কিন্তু সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময়েও এরকম বৈঠক হয় নি। সেদিক দিয়ে দেখলে বৈঠকটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্রের খবর,সীমান্তে চীন ও পাকিস্তানের বাড়াবাড়িকে যোগ্য জবাব দেবার জন্যই এই আয়োজন।
দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশ যে প্রস্তুত হতে চলেছে সে আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে ফরওয়ার্ড মুভমেন্ট করতে বলা হয়েছে। অর্থাত সীমান্ত থেকে দূরে অবস্থিত বেসে যে বাহিনী রয়েছে তাঁদেরকে চীন ও পাকিস্তান লাগোয়া ‘ওয়ারফ্রন্টে ‘মোতায়েন করা। খুব সম্ভবত এই সিদ্ধান্তেই সীলমোহর দিতে চলেছে আগামীদিনের বৈঠকে।
পূর্ব লাদাখে এখনও চীন উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে। একের পর এক আলোচনা বলতে গেলে ব্যর্থ। কোন শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ এখনও অধরা। সেই কারণেই লাদাখের পাশাপাশি উত্তর পূর্বের অরুণাচল সীমান্তেও আগ্রাসন বাড়াচ্ছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়ত চীনা লালফৌজ ঢুকে পড়ছে ভারত ভূখণ্ডে। আর এই সীমান্তের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে চীনের মিত্র দেশ পাকিস্তান। অবশ্য আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ও অনুঘটকের কাজ করছে। একটাই উদ্দেশ্য ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে কাশ্মীর ও উপত্যকার অঞ্চলকে অশান্ত করে তোলা।
সেনা সূত্রের খবর,গত কয়েকমাসে উপত্যকায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তিকে বহু বার লঙ্ঘন করেছে। আই এস আইয়ের মদতে ভূসর্গে বেড়েছে জঙ্গি আক্রমণ।
তাই সোমবারের এই শীর্ষ বৈঠকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির ‘ব্লুপ্রিন্ট ‘তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই উত্তর পূর্বের অরুণাচলের তাওয়াংয়ে সামরিক প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা। শুক্রবার অসমের সীমান্ত লাগোয়া সেনাঘাটিতে নিয়ে আসা হয়েছে বহুমুখি ক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্র ‘পিনাকা ও স্মার্চ ‘।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শ্রী নাথ জানিয়েছেন,স্মার্চ ও পিনাকা দুটি রকেট লঞ্চারই যুদ্ধের যাবতীয় প্রতিকূলতা জয়ে সক্ষম। স্মার্চের অভিঘাত এতটাই তীব্র যে,চোখের পলকে ৯০কিমিঃ দূরের যে কোন লক্ষবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।১২টি রকেট ছুড়তে পারে মাত্র ৪০সেকেণ্ডে।
আর পিনাকা মাল্টি ব্যারল রকেট লঞ্চার। একসঙ্গে ৩৫০বর্গকিমিঃ এলাকাকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে একসঙ্গে ১ʼ২টন গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে।
সড়ক পথের পাশাপাশি দ্রুত অস্ত্র মোতায়েন করার জন্য তৈরি হচ্ছে পাতালপথ। এই পথ ধরেই খুব সহজেই চীনের নাকের ডগায় পৌঁছে যাবে অস্ত্র সস্ত্র।
প্রজেক্ট ডিরেক্টর কর্ণেল পরিক্ষীত মোহরা বলেন,অনেক কম সময়েই পাতালের এই টানেল ধরে চীনের কাছাকাছি আমরা পৌঁছতে পারব। তার জন্য রাতদিন কাজ চলছে। উদ্দেশ্য একটাই যতটা সম্ভব নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুরপ্রক্রিয়াকে বাস্তব রূপ দেওয়া যায় ও চীনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.