তাহিরপুরে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে না পেরে এক ব্যাক্তির আত্বহত্যা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: নিকটাত্বীয়ের বাল্যবিবাহের ঠেকাতে না পেরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর রফিক মিয়া (২৩) নামে এক ব্যাক্তি আত্বহত্যা করলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশ নিহত রফিকের মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহত রফিক উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের ফকির নগর গ্রামের ফিরোজ খাঁর ছেলে।,
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গতকাল সোমবার রাত পৌণে ১০টা হতে সাড়ে ১০টার মধ্যে রফিক বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাওরে জামগাছের ঢালে দড়ি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্বহত্যা করেন।,
আজ মঙ্গলবার থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারীক সুত্র জানায়, উপজেলার ফকিরনগর গ্রামের রফিকের স্ত্রী সুজেদা বেগমের আপন ভাইয়ের ১১ বছর বয়সী কিশোরীর সাথে আপন বোনের অপর অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরের সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ের আলাপ আলোচননা চলে আসছিলো।
সুজেদার স্বামী ওই নিকটাত্বায়ীদের বাল্যবিবাহ ঠেকাতে গিয়ে আত্বীয় স্বজনের তোপের মুখে পড়েন। এ নিয়ে স্বজনরা তাকে নানাভাবে অপমান করেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধার পরপরই উভয় পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা মূল জন্ম নিবন্ধন সনদকে কম্পিউটারে এডিটিং করে পুন:রায় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে কৌশলে কিশোর কিশোরীর বিয়ের কাজ উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টারের (কাজী) বোরখাড়ায় সম্পন্ন করেন। পরে রাতেই বরের বাড়িতে নেয়া হয় কিশোরী কনেকে।
এ খবর পেয়ে গতকাল সোমবার রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্বহত্যা করেন রফিক।
আজ মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি জানতে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার কাজী সোহরাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করার পর বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলার ফকিরনগর গ্রামের এক কিশোরীর সাথে অপর কিশোরের বিয়ে পড়াতে আমার এখানে এসেছিলেন ঠিকই কিন্তু আমি বিয়ে পড়াইনি।, #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.