তাসমানিয়া দ্বীপ’র বালুচরে আটকে পড়ে ৯০ তিমি’র মৃত্যু

(তাসমানিয়া দ্বীপ’র বালুচরে আটকে পড়ে ৯০ তিমি’র মৃত্যু–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপের বালুচরে আটকে যায় প্রায় ৩শ’ তিমি। এর মধ্যে ইতিমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মারা গেছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দ্বীপটির পশ্চিম উপকূলে তিমি আটকে পড়ার ঘটনা প্রথম দেখে স্থানীয় অধিবাসীরা। খবর বিবিসি’র

বিশালসংখ্যক পাইলট তিমির দলটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ কর্মীরা। তবে কৌশলপূর্ণ এই কাজটিতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা।

ম্যাককুরি হেডস নামের প্রত্যন্ত এলাকায় তিমিগুলো আটকে পড়েছে। এই অঞ্চলে নৌযান ও সড়ক যোগাযোগ একদম সীমিত। উদ্ধারকর্মীরা সোমবার বিকেলে ওই স্থানে যান। তারা আকাশ থেকে শতাধিক তিমি আটকে পড়ার দৃশ্য দেখেন।

তারা বলছেন, ওই অঞ্চলে উদ্ধার কাজ খুবই কঠিন। অনেক তিমি এমন জায়গায় আটকে পড়েছে যেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। এর মধ্যে অনেক তিমি আকারে বেশ বড়, এটাও চ্যালেঞ্জের বিষয়।

বিশ্বের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রজাতির এভাবে বালুচরে আটকে পড়ার কারণ জানা যায়নি। সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমি সাধারণত লম্বায় সাত মিটার বা ২৩ ফুট হয় এবং এদের ওজন হয় প্রায় তিন টন।

পাইলট তিমি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপকূলে বেশি চলাচল করে। গবেষকেরা জানান, তাদের মধ্যে শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন রয়েছে। তারা নেতাকে অনুসরণ করে সব সময়।

এ কারণে এত সংখ্যক তিমি একসঙ্গে আটকা পড়েছে। এ ধরনের ঘটনা নতুন না হলেও ২০০৯ সালের পর একই স্থানে এত সংখ্যক তিমির আটকে পড়া ও মৃত্যু আর ঘটেনি। ২০১৮ সালে এ ধরনের একাধিক ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে দুই শতাধিক তিমি মারা যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.