তালেবানের সীমান্তবর্তী ২ এলাকা দখল নিয়ে যা বলছে ইরান

(তালেবানের সীমান্তবর্তী ২ এলাকা দখল নিয়ে যা বলছে ইরান–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সঙ্গে স্থলবাণিজ্যের অন্যতম পথ সীমান্তবর্তী শহর ইসলাম কালা এবং তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে দুটি স্থল বাণিজ্যপথের একটি সীমান্তবর্তী শহর তোড়গুন্দি দখলে নিয়েছে তালেবান। প্রদেশের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, তালেবানের যোদ্ধাদের আসার খবর পেয়ে ইসলাম কালা কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ইরানে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনার পরও আফগান সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলে পরিপূর্ণ নিরাপদ অবস্থা বিদ্যমান বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে।
গতকাল শুক্রবার (০৯ জুলাই) বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের উদ্যমী সীমান্তরক্ষীদের কল্যাণে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত শান্ত ও নিরাপদ রয়েছে এবং আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কোনো রকম নিরাপত্তাহীনতা নেই।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসলাম কালা ক্রসিংয়ে (স্থলবন্দর) তালেবান হামলার পর সেখানে কর্মরত আফগান কর্মীরা ইরানে প্রবেশ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় আফগানিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তিগুলো মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দু’দেশের সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) ইরানের শুল্ক বিভাগ আফগানিস্তানের সঙ্গে দু’টি স্থলবন্দর দিয়ে দেশটিতে পণ্য না পাঠানোর জন্য ইরানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। ওই দু’টি বন্দরের আফগান অংশ তালেবান দখল করে নিয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর স্থলবন্দর দু’টি বন্ধ করে দিয়ে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের তৃতীয় স্থলবন্দর যথারীতি চালু রয়েছে।
ইসলাম কালা স্থলবন্দর আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যপথ।  প্রতি মাসে এ বন্দর থেকে সরকারের আয় প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের প্রায় ২০০ জেলা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের সংঘর্ষ চলছে প্রতিদিন।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে।  দুই দশকের এই যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুই হাজার তিনশর বেশি সদস্য প্রাণ হারান। আহত হন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর হাজার হাজার সেনা।
পাশাপাশি অগনতি আফগান নাগরিক যুদ্ধের শিকারে পরিণত হয়। এই যুদ্ধের জন্য খরচ করা হয় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.