তালেবানের বিজয়ে যা ভাবছেন বিশ্বনেতারা

(তালেবানের বিজয়ে যা ভাবছেন বিশ্বনেতারা–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাবুলের সিংহাসন থেকে তালেবানকে হটানো হয়েছিল ২০০১ সালে। দীর্ঘ ২০ বছর আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আবারও দৃশ্যপটে তালেবান। ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা। এদিকে,  দুই দশক পর কট্টরপন্থী দলটির ক্ষমতা দখলের ঘটনায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
চীন: চীন বলছে তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার জন্য প্রস্তুত। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং সাংবাদিকদের বলেন, আফগান জনগণের নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণের স্বাধীন অধিকারকে চীন সম্মান জানায়। চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক করতে প্রস্তুত।
পাকিস্তান: তালেবানের ক্ষমতা দখলকে ‘দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা’ হিসেবে দেখছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান বরাবরই তালেবানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। তালেবানের বিজয়ের পর ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে এখন যা ঘটছে, তাতে তারা (তালেবান) দাসত্বের শেকল ভেঙে দিয়েছে।
জার্মানি: তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সোমবার জার্মানির চ্যান্সেলর দলীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠকে বলেছেন, তালেবানের বিজয়ে যারা অগ্রগতি ও স্বাধীনতার গড়ার ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে দেশটির নারীদের জন্য বিষয়টি খুব খারাপ হলো বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ সময় আফগানিস্তান থেকে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের জন্য ‘আন্তঃ রাজনৈতিক কারণ’ আংশিকভাবে দায়ি বলে মনে করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে তালেবান নিয়ে যুক্তরাজ্যের মনোভাব জানা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তুরস্ক: তালেবান ক্ষমতা দখলের পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সোমবার জানান, তালেবানের উচিত তাদের ভাইদের ভূমির দখলদারি বন্ধ করা। আফগানিস্তানে যে বর্তমানে শান্তি বিরাজ করছে সেই বিষয়টি বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা উচিত।
ভারত: তালেবানের বিষয়ের পর মোদি সরকারের তরফ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার দেশটির মন্ত্রিসভা, বিদেশ মন্ত্রণালয় (এমইএ).,শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা,  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএ) কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
রাশিয়া: তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তালেবানের সরকার গঠনের ভিত্তি দেখে রাশিয়া তালেবান সরকারের স্বীকৃতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জমির কাবুলভ জানিয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.