তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ায় আতংকে ইউরোপ, বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পনা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের মার্কিন সেনাপ্রত্যাহারের পর দেশটিতে তালেবান ঝড়ের বেগে ক্ষমতার মসনদ নিয়ন্ত্রণে নেয়। এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় ইসলামপন্থী এ দলটি এভাবে ক্ষমতার দখল নেওয়ায় চিন্তার ভাজ ফেলেছে ইউরোপিয়ানদের।
তালেবানদের মতো কোনো সংগঠনের কাছে এভাবে রাষ্ট্র যদি হুমকি বা বিপর্যয়ে পরার শংকাও রয়েছে অনেক ইউরোপীয়ান দেশের।
এসব বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ বাহিনী ‘র্যা পিড রিঅ্যাকশন ফোর্স’ গড়ার চিন্তা-ভাবনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এটা এমন একটা বাহিনী হবে যাদেরকে কাবুল সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি যে কোনো সংকটকালীন মুহূর্তে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে মোতায়েন করা যাবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে ইইউর যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতাও কমবে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ও ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। তবে পদক্ষেপটি শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এর আগে বেশ কয়েকবার চষ্টো করেও ব্যর্থ হয়েছে সংগঠনটি। ইইউ এই ধরনের একটি বাহিনী গড়ুক তা চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।
প্রস্তাবটি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ফের আলোচনায় বসেন ইইউ প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
বৈঠক শুরুর আগে সংগঠনটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, আফগানিস্তান বিপর্যয়ের পর ইউরোপের নিজস্ব একটা প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’
ইইউর প্রতিরক্ষা শিল্প বিষয়ক প্রধান থিয়েরি ব্রেটন বলেছেন, ‘ইউরোপের একটা নিজস্ব ও অভিন্ন প্রতিরক্ষা বাহিনী এখন আর কোনো ‘অপশন’ নয়। সীমান্তে কিংবা বিশ্বের যে কোনো স্থানে মোতায়েন করার মতো একটা কার্যকর সামরিক মিশন আমাদের অবশ্যই থাকতে হবে।’
তবে এমন বাহিনী গঠনের বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন।
ইউরোপে কাজ করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার বেন হজেস। তিনি বলেছেন, ‘ন্যাটোর কাছাকাছি এমন কোনো সেনা কাঠামো গড়া ইউরোপের উচিত হবে না।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.