তালেবানদের বিজয়ে আল-কায়েদার উচ্ছ্বাস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের কয়েক ঘন্টা পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ’তালেবানদের বিজয়’ উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আল-কায়েদার জেষ্ঠ্য নেতারা।
আমেরিকান নিউজ ওয়েবসাইট এফডিডির লং ওয়ার জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কায়েদার নেতারা জানিয়েছেন কাবুলের ‘প্রেসিডেন্ট ভবন’ থেকে কোরআন থেকে তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে আমাদের হৃদয় ‘সান্তনা’ পেয়েছে।
আল-কায়েদার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সর্বশক্তিমানের প্রশংসা করি যিনি আমেরিকাকে অপমানিত ও পরাজিত করেছে। আমেরিকার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আমরা তার প্রশংসা করি।’
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সর্বশেষ সেনা চলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার তালেবানরা বিজয় ঘোষণা করে। বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে সেসময় তালেবানদের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মোজাহিদ ছোট একটি জনসমাবেশে বলেন, ‘এই বিজয় আমাদের সবার।’
সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তালেবানদের বাদরি ৩১৩ বিশেষ ফোর্স বিগ্রেড থেকে ভারী সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তালেবান যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানান।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তালেবানরা রাতের আকাশে বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়তে ছুড়তে বিমানবন্দরের দিকে হেটে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মনিটরিং রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার নের্তৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদার পাশাপাশি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। বিপুল সংখ্যক আল-কায়েদা যোদ্ধা এবং তাদের বিদেশি উগ্রবাদী সহযোগিরা তালেবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, দুই দলের মধ্যে এখনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। একক লড়াই ও আন্তবিয়ের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরো আন্তরিক করা হচ্ছে। আল-কায়েদা ও তাদের সমমনা জঙ্গীরা আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও তালেবানদের বিজয় নিয়ে অব্যাহতভাবে আনন্দ করে যাচ্ছে। (সূত্র: ডেকানন ক্রনিক্যাল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.