খাদ্যে ১৫ ভাগ ক্যালরি কমান তারুণ্য ধরে রাখতে

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: বার্ধক্য এমনই একটি জৈবিক বিষয় যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক গতিতেই এগিয়ে আসে। তারুণ্য ধরে রাখতে বিজ্ঞানীরা এখন মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করার উপায় খোঁজার ওপর জোর দিচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ায় বুড়িয়ে যাওয়ার পথ রোধ করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে প্রতিরোধ পন্থা অবলম্বন। এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা মানুষের তারুণ্য ধরে রাখার কৌশল খোঁজার চেষ্টা করছেন।
তবে সমপ্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তারুণ্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে খাদ্যের ক্যালোরির। প্রধান গবেষক লিন এম রেডম্যান বলেন, খাবারে অতিরিক্ত ক্যালরি ত্যাগ করতে পারলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলজনক। তাদের মতে, খাদ্য তালিকা থেকে প্রতিদিন শতকরা ১৫ ভাগ ক্যালরি পরিহার করতে পারলেই নাকি অন্তত দুই বছর অতিরিক্ত তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।
তারুণ্য অটুট থাকার পেছনে জিনগত ভূমিকার পাশাপাশি মানুষের নিত্য দিনের অভ্যাসও সমানভাবে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, মদ্যপান পরিহারের মতো কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার প্রতি জোর দেন চিকিৎসকরা। প্রতিটা মানুষই চেহারা আর চালচলনে তারুণ্য ধরে রাখতে চায়। শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মনের দিক দিয়েও তরুণ থাকতে চান বেশিরভাগ মানুষ।
এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কেউ টানা এক বছর ক্যালরি কমিয়ে খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে পারলে উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় তার বিপাকীয় হার। প্রথম বছরের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে দ্বিতীয় বছরও বিপাকীয় হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সামগ্রিকভাবে অক্সিডেটিভ চাপ কমে আসে।
অক্সিডেটিভ চাপের কারণেই সাধারণত ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্রবণ ও দর্শন সমস্যা, আথ্রাইটিস, স্মৃতিভ্রম সমস্যা থেকে শুরু করে লিভার, কিডনি সব কিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কেউ নিয়মিতভাবে খাদ্যাভ্যাস থেকে ক্যালরি কমিয়ে দিতে পারলে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে আসে অর্থাত্ দীর্ঘস্থায়ী হয় তারুণ্য। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সেল মেটাবোলিজম’ জার্নালে। সূত্র-বিবিসি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.