গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শেখ হাসিনার জয়ই হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জয়। আজকের তরুনেরাই আগামীর দেশনায়ক।নৌকা তথা সার্বজনিন বহুমুখি উন্নয়নের পরিক্ষিত কারিগর নির্লোভ রাজনীতিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়নের ধারার গতি অব্যাহত রাখতে তরুণদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। তারুণ্যের প্রথম ভোট হোক স্বাধীনতা পক্ষের।
নৌকা তথা শেখ হাসিনার বিজয়ই হবে আমার-আপনার আপামর সবার। দেশ এগিয়ে যাবে উদীয়মান তারুণ্যের অবিরাম গতিতে।
আর এর দৃষ্টান্ত রাখতে দেশের ৭০%- এর অধিক ভোটার জনতা রোববার ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সারাদেশ এবং রোববার ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ খ্রি. ৩১ গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) সংসদীয় নির্বাচনি আসনে দিনভর আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নেই।
বিভিন্ন আলাপচারিতার ফাঁকে এমন সব উদ্বিপ্ত কথাগুলো বলছিলেন স্বাধীনতা প্রেমী তেজস্বী জননেতা ৩১ গাইবান্ধা-৩ আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য একাদশ জাতীয় সংসদ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকার এমপি।
আজ বৃহম্পতিবার এ প্রতিনিধির সাথে একান্ত কথা বলতে গিয়ে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
ভোটাররা কেন নৌকায় ভোট দিবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বজ্রকন্ঠে শুনিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সরকারের বহুমুখি নানা উন্নয়নের কথা।
শুধু গাইবান্ধা-৩ নয়। সারাদেশে সম উন্নয়নের জোয়ার বইছে। জানিয়ে দেন আগামীর যতসব উন্নয়নের কথা। জানান বাঙ্গালির ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ নানা ইতিকথা। বলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ইতিহাসের জনক বঙ্গবন্ধুর নির্লোভ জীবনির সততা-সাহসিকতার কথা।স্বাধীনতা ইতিহাসের শিঁহরিত সেইসব স্মৃতিকথা। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধি রাজাকারদের নিষ্ঠুর নির্মমতার কথা। বর্বর ওই বাহিনীর কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদেই ফেলেন। জানান রংপুর মেডিকেলের সাবেক তুখোর এই ছাত্র নেতাই আজকের ইউনুস এমপি।বলেন চড়াই-উৎরাই,সুদিন-দুর্দিনে পিছনের সব জানা অজানা কথা।
স্বাধীনতার ৩৭ বছরে যা হয়নি তা ৪৭ বছর পূর্তির ৪৭ বছর অর্থাত বিগত ১০ বছরের সামগ্রিক উন্নয়নেরর প্রশংসা শুধু দেশেই নয়।গুন্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।এসব সম্ভব হয়েছে একমাত্র হাসিনার সরকারের কারনেই।
তিনি তাঁর নিজের এলাকার উন্নয়নের ধারার কথা বলতে গিয়ে বলেন যে সব জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন হয়নি তা সবই বাস্তবায়ন করা হবে ইনশা- আল্লাহ। এরমধ্যে সবই রয়েছে। যা বান্তবায়নের অপেক্ষায়।
শুধুই ধারাবাহিকতা। উন্নয়নের তালিকায় হাট-বাজার, রাস্তা- ঘাট-মাঠ,মসজিদ-মন্দির,ড্রেন-কার্লভাট,অগ্রাধিকার কর্মসূচি-প্রকল্প,আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জনদাবী সমূহ, সমস্যা-সম্ভাবনা,বাস্তবায়ন আগের মত সবই রয়েছে। তিনি বলেন নির্বাচনি ইশতেহার আমি বুঝি না। বুঝি শুধু এটিই-আর তা হলো এলাকার যতসব উন্নয়ন তা সবই বাস্তবায়ন বরা হবে। আমি নেয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসি না। আমি দেয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসি।
তিনি বলেন আগে যেমন আমার চাওয়া পাওয়ার কিছুই ছিল না-বর্তমানেও নেই। আমি-আমিই।

আমিই ডা.ইউনুস। আমিই এই পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এখানেই আমার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হাতে খড়ি। আমি আপনাদেরই সন্তান। কেন নৌকায় ভোট দিবেন না। আমি নৌকার ভোট প্রার্থনা করছি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ আসনটি একটি মডেল আসনে রুপান্তর করা হবে।পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে সবকিছু।স্থানীয় অফিসের হাট অথবা ৩নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সরকারের খাস জমিতে পলাশবাড়ী পৌরসভা ভবন নির্মানসহ জনদাবী সমূহ বাস্তবায়ন করা হবে।
বিশেষ করে পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের ঐতিহাসিক চৌমাথার জিরো পয়েন্টের। এই স্থানেই এদেশীয় ন্বাধীনতা বিরোধি দোসর রাজাকার বন্দে আলী খাঁনের চক্রান্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে সেদিন পাক বাহিনীর মধ্যে মিত্র বাহিনী বা মুক্তিফৌজের সম্মুখ যুদ্ধে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন পাবনা নারিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়েের তৎসময়ের প্রধান শিক্ষক গর্বিত বাবার সন্তান ক্যাপ্টেন রফিক। এখানে একটি স্বাধীনতা স্কয়ার বঙ্গবন্ধু সাদৃশ্য ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে।বাইপাসসহ নির্দিষ্ট স্থানে একটি বাস টার্মিনাল নির্মান ও মডেল হাটে পরিণত করা হবে পলাশবাড়ী সদরের ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ী হাট । ফায়ার সার্ভিস উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আইনি জটীলতা থেকে মুক্ত করে পলাশবাড়ীকে পৌরসভা,সেই সাথে তিন ইউপির নির্বাচন চাই দাবী বাস্তবায়নই শুধু নয়- করা হবে অনেক কিছু।
এছাড়া পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে বেতকাপা ইউপির ডাকঘর নামক স্থানে প্রস্তাবিত আঞ্চলিক ইপিজেড প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন একমাত্র নৌকায় ভোট দিলে সবই হয়-সবই পাওয়া যায়। আশা-প্রত্যাশার কোন কিছুই অপূরনীয় থাকে না। আর সবকিছুর নেতৃত্বে মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা।
ভুলে গেলে চলবে না-শেখ হাসিনাই পেরেছেন।আবার তিনিই পারছেন। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবেন।
বেশ কিছুক্ষন কথা বলতে গিয়ে মাননীয় এমপি ডা.ইউনুস’জয়বাংলা বাংলার জয়’ শ্লোগান উচ্চারন করে বলেন এই শ্লোগান ঐতিহাসিক। আবারো জয় হবে নৌকার।শুধু একবার নয়।জয় হবে বার-বার।
এই প্রথম ভোটারদের প্রতি তিনি বলেন।তারুন্যের সব ভোট হোক শুধুই নৌকার। জয় হোক শুধুই নৌকার। নৌকার জয় মানে শেখ হাসিনার জয়।
এ জয় দেশবাসির জয়। দেশের জয় মানে আমার আপনার-আপামর সবার জয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ভরে উঠুক সোনায় সোহাগা হয়ে।
বিশ্বের দরবারে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি বাংলাদেশ গর্জে উঠুক আপন শ্লোগানে।নৌকার বিজয় হোক সুনিশ্চিত।
‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি-মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি’। আর এমন হাসিই আমরা সবসময়ই হাসতে চাই। নবীন-প্রবীণসহ সর্বস্তরের ভোটারদের নিকট তিনি ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন আমরা সবাই আবারো নৌকায় ভোট দিবো। বরাবরের ন্যায় ভবিষ্যতের কাঙ্খিত উন্নয়ন আমরাই বুঝে নিবো।নৌকাই আমাদের উন্নয়নের আসল ঠিকানা।
নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ-জনতা কি পেয়েছেন ?
এক প্রশ্নের জবাবে এমপি ডা.ইউনুস আলী সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এক নজরে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য সমূহের চিত্র তুলে ধরেন :-
১| ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বিতারণ কর্মসুচী।
২| বিনামূল্য পাঠ্য পুস্তক বিতরন।
৩| সমুদ্র সীমা বিজয়।
৪| সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ।
৫| সারাদেশে ফ্লাইওভার নির্মাণ।
৬| বিশ্ব অটিজম আন্দোলন নেতৃত্বে বাংলাদেশ।
৭| উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরন।
৮| ডিজিটাল স্মাটকার্ড প্রদান।
৯| দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন।
১০| আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
১১| রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান।
১২| ছিটমহল সমস্যার সমাধন।
১৩| পদ্মা ও দেশের বৃহৎ নদীগুলোতে সেতু নির্মান।
১৪| মেট্রো রেল নির্মান।
১৫| অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্টা।
১৬| কওমী মাদ্রাসা দায়রা হাদীসকে মাস্টার্স মান প্রদান।
১৭| শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান।
১৮| আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
১৯| মেডিকেল কলেজ স্থাপন।
২০| কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
২১| টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন।
২২| বৃহত্তর সড়কগুলোকে ৪-৬ লেনে উন্নীতকরন।
২৩| সমগ্র দেশকে রেলওয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ।
২৪| বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন
২৫| ইন্টারনেটের সহজ ব্যবহার।
২৬| প্রতিটা ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন।
২৭| খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ
২৮| দারিদ্র বিমোচন।
২৯| গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ।
৩০| লিগ্যাল এইডে জনগনকে আইনগত সহায়তা।
৩১| বয়স্ক ভাতা প্রদান।
৩২| বিধবা ভাতা প্রদান।
৩৩| মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান।
৩৪| মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান।
৩৫| ডি.জি.ডি কার্ড প্রদান।
৩৬| ভি.জি.এফ কার্ড প্রদান।
৩৭| জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান।
৩৮| স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রদান।
৩৯| জঙ্গী দমন।
৪০| দেশব্যাপী কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন।
৪১| গ্রামীন জনপদে সংযোগ রাস্তার প্রসারতা
৪২| ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক একাউন্ট চালু।
৪৩| মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি।
৪৪| ও এম.এস কর্মসূচী বাস্তবায়ন।
৪৫| এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প।
৪৬| শিল্প পার্ক নির্মান।
৪৭| হাতিরঝিল প্রকল্প।
৪৮| ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরন।
৪৯| নদী ভাঙন রোধ প্রকল্প।
৫০| নারীর ক্ষমতায়ন।
৫১| শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি।
৫২| জনশক্তির রপ্তানী বৃদ্ধি।
৫৩| পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন।
৫৪| শিশুদের টিকাদান কর্মসূচী।
৫৫| ১১৯ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন।
৫৬| কর্নফুলি টানেল নির্মাণ।
৫৭| প্রবাসীদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি।
৫৮| পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ।
৫৯| উড়াল সেতু নির্মান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.