তামিমের ব্যাটিং তান্ডবে লণ্ডভণ্ড ঢাকার বোলিং

ঢাকা প্রতিনিধিদীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গতকাল শুক্রবার ষষ্ঠ আসরের অবসান ঘটছে ফাইনালের মধ্য দিয়ে। বহু কাঙ্ক্ষিত এই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে টুর্নামেন্টের দুই ফেভারিট দল ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

পুরো টুর্নামেন্টে নিজের জাত চেনাতে ব্যর্থ তামিম ফাইনালকে বেঁছে নিয়েছেন আদর্শ মঞ্চ হিসেবে। ৬১ বলে ১৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফাইনালটাকে মনোমুগ্ধকর করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এই ইনিংস খেলার পথে ১১টি ছয় ও ১০টি চার হাঁকান তিনি।ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান এভিন লুইসকে নিয়ে ইনিংস শুরু করলেও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান।

দলীয় ৯ রানে ৭ বলে ৬ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন লুইস। এরপর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন তামিম। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৮৯ রানের জুটিতে বিজয়ের ব্যাটে ছিল মাত্র ২৪ রান। বিজয় ফেরেন সাকিবের বলে। ২৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে যান বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার।বিজয়ের পর কোনও রান না করে আউট হয়ে যান শামসুর রহমান। শামসুরের বিদায়ের পর আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেন তামিম। রুবেলের এক ওভারে ২৩ রান নিয়ে শুরু করেন তিনি। একের পর এক চার ছয়ে বল টোকাতে ব্যস্ত রাখেন কুমিল্লার ফিল্ডারদের।

৫০ বলে বিপিএল ক্যারিয়ারে প্রথম শতকটি হাঁকান ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সেঞ্চুরির পরও একই রকম ব্যাট চালান তিনি। অপরাজিত থাকেন ১৪১ রান করে, যা বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। প্রথম সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ২০১৭ সালে ক্রিস গেইলের ১৪৬ রানের।  শেষ পর্যন্ত তাকে সঙ্গ দিয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস করেন ২১ বলে ১৭। দল পায় তিন উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের বড় পুঁজি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.