তামাক দ্রব্যের ওপর কর বাড়াতে সংসদে এবং বাইরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমনের কারণে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ধূমপান এবং জর্দা, গুল ও সাদাপাতা সেবন ফুসফুস ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।

এ দুঃসময়ে ব্যবহারকারীকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার জন্য তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে এবং এই পণ্য যেন সহজে সবখানে যেন পাওয়া না যায়, এই উদ্যোগ গ্রহনের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত নারী আসন-৫০।

৯ জুন ২০২০ তারিখে উবিনীগ ও তাবিনাজের আয়োজনে ‘তামাকের ক্ষতি ও কর সংলাপঃ ২’ এর ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এই বাজেট অধিবেশনে তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাবে্র সমর্থনে জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা, সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন তামাক কোন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়।

যদি আইনে সেটা থাকে তাহলে তা সংশোধন করার উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় সংসদে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা, যারা এ নিয়ে কাজ করছেন, তিনি তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় একমাত্র পথ হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। নিজের শরীর সুস্থ রাখা, বিশেষ করে ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হয় এমন কিছু সেবন থেকে বিরত থাকা।

জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেন ধুমপান যেমন মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তেমনি জর্দা গুল এবং সাদাপাতা একইভাবে ক্ষতি করে। তামাক শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গকে দূর্বল করে দিতে পারে তাই এ সকল ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে এবং করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়াবার উদ্যেগ গ্রহন করতে হবে।

ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা এ বিষয়ে সংসদ সদস্যদের নিয়ে ককাস গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন জনস্বাস্থ্যে ক্ষতি করে এমন তামাক পণ্য (সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল সাদাপাতা) কোভিড সংক্রমন কালেও বাজারে ক্রয় বিক্রয় অব্যহত রয়েছে। জর্দা গুল সাদাপাতা গরীব ও নারীরা ব্যবহার করে। এতে করে হাতের কাছে এই সকল পণ্য যখন তখন পাওয়া গেলে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

এই সকল পণ্যকে কর জালে আবদ্ধ করা ও দাম বাড়িয়ে ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে আনা একান্ত প্রয়োজন। তিনি বিষের সাথে তামাকের তুলনা করে বলেন, “তামাক এবং বিষের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, বিষ শুধু যে পান করে তাকেই মারে; আর তামাক শুধু সেবনকারীকেই নয়, আশেপাশে যারা আছে তাদেরও মারে”।

প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে উবিনীগ ও তাবিনাজের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংসদ সদস্য ব্যরিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ধুমপান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ধোঁয়াবিহীন তামাক উৎপাদনকারীকে কর জালে আনা, এবং করারোপ করে ব্যবহার কারীকে নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ উদ্যোগ গ্রহন করার সময় এখনি।

বার্তা প্রেরক: সাইদা আখতার, সমন্বক, তাবিনাজ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.