তামাকপণ্যের খোলা বিক্রি-বিক্রয়স্থানে এর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধের আহবান

(সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং আবিদা আনজুম মিতা)
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ ১১ ডিসেম্বর,২০২০ তারিখে উবিনীগ ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আয়োজনে তামাকপণ্যের খোলা বিক্রি এবং বিক্রয়স্থানে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য আহবান জানান সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং আবিদা আনজুম মিতা।
সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, তামাক পণ্যের ব্যবহার,বিপনন,বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ করার পূর্বে আমাদের তামাকপণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবতে হবে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করলে এটির ব্যবহারও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তামাক কারখানায় জড়িত শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদ্যোগ গ্রহনের আহবান জানান সৈয়দা রুবিনা আক্তার। 
পয়েন্ট-অব-সেল বা বিক্রয়স্থানে তামাকপণ্যের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে লাইসেন্সিং বিধি-বিধান আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিক্রয়স্থানে তামাকপণ্যের দৃশ্যমানতা বন্ধ করা গেলে তা তামাক পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। শুধু বিক্রয়স্থানে নয়, সেইসাথে উৎপাদন, বাজারজাতকরণসহ প্রত্যেক স্তরে লাইসেন্সিং এর ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করলে তামাক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আদিবা আনজুম মিতা বলেন, গ্রাম অঞ্চলে বিশেষত নারীদের মধ্যে জর্দা, গুলের ব্যবহার বেশী। এর ফলে মুখের নানা ক্যান্সারসহ নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমি মনে করি গুল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত। পাশাপাশি জর্দার ব্যবহারও যাতে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই পানের সাথে জর্দা ও সাদাপাতা খোলা বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
বর্তমানে শহর অঞ্চলে তরুণদের মধ্যে একধরণের ফ্যাশন আইটেম হিসেবে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধনী এনে তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান এই সংসদ সদস্যদ্বয়।
সংবাদ প্রেরক মো: রাশেদুজ্জামান,গবেষক, তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ঢাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.