তানোরে মুণ্ডুমালা পৌরসভার দু’ই কাউন্সিলরকে শোকজের নোটিশ

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার নিজ ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির নামে দুইবার ওএমএস কার্ড এবং মৃত ব্যক্তির নামে একই কার্ড দেয়ার অভিযোগে দুই কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার (০৯ মে) দুপুরে পৌরসভার প্যাডে (স্মারক নং ২০২০/১০৯ এবং ২০২০/১১০) শোকজ নোটিশে স্বাক্ষর করেন মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী। আজ রোববার (১০ মে) ২০২০ ইং দুপুরের দিকে এ শোকজ নোটিশটি ওই দুই কাউন্সিলরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত দুই কাউন্সিলরা হলেন যথাক্রমে, মুন্ডুমালা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমির হোসেন আমিন এবং ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান।

পাঁচ নং ওয়ার্ড কাউন্সিরকে দেয়া শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের গত ১৬ এপ্রিল মুণ্ডুমালা পৌরসভার ১ হাজার ২’শো জনের মধ্যে ওএমএস কার্ড বিতরণের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের সুপারিশ অনুযায়ী পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২৯ নম্বার হতে ৫৫০ নম্বার সিরিয়ালে মোট ২২২ টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই সকল বরাদ্দকৃত কার্ডের মধ্যে ওই ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তি আমজাদ হোসেনের নামে ৪৯৮ নম্বার ক্রমিকের কার্ড অর্ন্তভুক্ত করেছেন কাউন্সিলর আমিন হোসেন আমিন। এছাড়াও তিনি একই ওয়ার্ডের ০৯ জন ব্যক্তিকে দুইবার করে একই কার্ড প্রদান করেছেন। যাহা দেশেরর প্রচলিত সরকারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অপরদিকে, একই অপরাধ করেছেন ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান। একই সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জন্যও ওএমএস কার্ডের বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের বরাদ্দকৃত কার্ড থেকে একই ব্যক্তির নামে দুইটি কার্ড দেয়া হয়েছে। এখানেও দেশের প্রচলিত সরকারি আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।

মূলত একারণে কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমানকেও ২৪ ঘন্টর মধ্যে নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয় মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কয়েকজন কাউন্সিলর আমার নামে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন। অথচ তারা নিজেরাই সুপারিশ করে কার্ড বরাদ্দ নিয়ে এক ব্যক্তির একাধিক বা মৃত ব্যাক্তির নামে ওএমএস কার্ড দিয়েছেন। এরপর তারাই আবার আমার নামে উল্টো মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাছেন।

আমি আমার উপরে দেওয়া এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রেরণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

মেয়র আরও বলেন, দুইজন কাউন্সিলরকে ইতোমধ্যে শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। শোকজ নোটিশের অনুলিপি  বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মবকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া বরাদ্দকৃত কার্ডের তালিকাসহ পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণও সরবরাহ করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে শোকজপ্রাপ্ত পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিন তার ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির নামে একাধিক ওএমএস কার্ড দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

 তিনি বলেন, শোকজ নোটিশেই সবকিছুর জবাব দেয়া হবে। এছাড়া একই ধরনের মন্তব্য করেছেন আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.