তানোরের প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে ইলামদহী হাটের জায়গা জবরদখল করে পাকা ঘর নির্মাণ !

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় হাটের সরকারী জায়গা জবরদখল করে পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ০৩ নং পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী (পাকুয়া) হাটে জবরদখল করে এই পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী বাদি হয়ে ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

কিন্তু অবৈধ নির্মাতা মিজান হাট ইজারদারের জোগসাজশে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য ও প্রশাসনের চোঁখ ধুলো দিয়ে রাঁতের আঁধারে আবারও সেই অবৈধ ঘরের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্য চরম অসন্তোস ও উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে।

অনুসন্ধান কালে স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ইলামদহী গ্রামের মৃত মেছের আলীর পুত্র মিজানুর রহমান (মিজান) জাল দলিল সৃস্টি করে হাট ইজারদারের যোগসাজশে হাটের রাস্তা জবরদখল করে অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মিজানের অবৈধ ঘর নির্মাণ বন্ধ ও অপসারণ করা না হলে তার দেখাদেখি অন্যরাও হাটের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে উৎসাহী হয়ে উঠবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ভুমি অফিসের কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছ। তার পরেও যদি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ করে, তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে অভিযোগ অস্বীকার করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এই জায়গা তিনি জনৈক গোলাম রাব্বানীর কাছে থেকে কিনেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.