তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুশিয়ারি চীনের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যদি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি দেখা করেন, তা হলে ‘পাল্টা জবাব’ দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে চীন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কড়া ভাষায় হুমকি দিয়েছে চীন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বুধবার ১০ দিনের সফরে মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এ সফরে তিনি গুয়েতেমালা এবং বেলিজ যাবেন। দেশ দুটিতে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রানজিট নেবেন তিনি।
আর ট্রানজিট নেওয়ার সময় প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বৈঠক করতে পারেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। চীন বলেছে, এমন কিছু হলে এটি ‘উসকানি’ দেওয়ার শামিল হবে।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। যদিও তাইওয়ান কখনো চীনের শাসনাধীন ছিল না। কিন্তু চীন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একাধিকবার হুশিয়ারি দিয়েছে, তারা যেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা না করেন। তারা বলেছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের বিষয়টি দেশটির স্বাধীনতাকে সমর্থন দেওয়ার শামিল হবে।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। পেলোসি চলে যাওয়ার পর পরই চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়।
প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সম্ভাব্য বৈঠকের ব্যাপারে চীনের তাইওয়ানবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংগিলান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সাইয়ের ট্রানজিট শুধু বিমানবন্দরে বা হোটেলে অপেক্ষা করা না। এর বদলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন, এটি হবে আরেকটি উসকানি, যেটি এক চীন নীতিকে চরমভাবে লঙ্ঘন করবে, চীনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করবে এবং তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে।’
‘আমরা কঠোরভাবে এর বিরোধিতা করছি এবং অবশ্যই পাল্টা জবাব দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ যোগ করেন এ কর্মকর্তা। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.