তরুণদের রক্ষায় তামাকের কর বৃদ্ধির দাবি এমপি আয়েনের

এসিডি প্রতিবেদক: সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য শিশু ও তরুণদের ক্রয়-ক্ষমতার বাহিরে এবং হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-০৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটি তরুণদের তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে এবং জীবনব্যাপি নেশা থেকে দূরে রাখবে, যা প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’

গতকাল সোমবার (০৮ জুন) তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রবিবার (০৭ জুন) সকল তামাকজাত পণ্যের ওপর উচ্চহারে করারোপের দাবিতে অর্থমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।

এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘তামাক ব্যবহারে শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর বাংলাদেশ অন্যতম। গ্লোবাল এ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব) তামাক ব্যবহার করে। তামাক ব্যবহারের হার পুরুষদের মধ্যে ৪৬% পুরুষ এবং ২৫.২% মহিলা তামাক ব্যবহার করেন।

গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে ২০১৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩-১৫ বছরের ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৬.৭% তামাক ব্যবহার করে। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ তামাক ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ বাংলাদেশে তামাক দ্রব্যের সহজলভ্যতা। এখানে তামাক দ্রব্য খুব সস্তা হওয়ায় শিশু ও তরুণরা খুব সহজেই তামাকজাত দ্রব্য ক্রয় করতে পারে। ফলে দিনের পর দিন আগামী প্রজন্মের বিশাল একটি অংশ তামাকের ভয়াল ছোঁবলে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত।’

তিনি বলেন, ‘তাই তরুণ প্রজন্মকে তামাকের গ্রাস থেকে বাঁচাতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারকদের তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করার সাথে সাথে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক দ্রব্যের দাম বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’

সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকের ওপর বিদ্যমান কর-কাঠামো অত্যন্ত জটিল, পুরোনো ও দুর্বল। কোনো তামাককর নীতিমালা না থাকায় এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের কোন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।

বিশেষ করে সিগারেটে ৪টি মূল্যস্তর থাকায় তামাকর ব্যবহারকারীরা সহজেই মূলস্তর পরিবর্তন করতে পারে, যা তামাকের ব্যবহার হ্রাসের বড় বাধা। তাই আসন্ন (২০২০-২০২১) অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটিতে আনা প্রয়োজন।

সেইসাথে তামাকজাত দ্রব্যের খুরচা মূল্যের উপর ৩% কোভিড-১৯ সারচার্জ আরোপ করা হলে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয় হবে যা সরকার কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যয় এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যয় করতে পারবে।’

তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি বলেও উল্লেখ করেন।

বার্তা প্রেরক: আমজাদ হোসেন শিমুল, মিডিয়া ম্যানেজার, এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.