তরুণদের তামাক থেকে দূরে রাখতে খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করা জরুরি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং তরুণদের তামাক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার জন্য বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি করা খুবই কার্যকরী একটি পদক্ষেপ। এছাড়া পরোক্ষ ধূমপান থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা প্রদান করতে যতোদ্রুত সম্ভব তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সন্ধানী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. হাসিবুল হক হাসিব।
আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (শিশু ও মহিলা কার্ডিয়াক ইউনিট) আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন : তরুণ চিকিৎসকদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও সন্ধানী যৌথভাবে সভাটি আয়োজন করে।
ডা. হাসিবুল হক হাসিব বলেন, একজন কিশোর বা তরুণ ১/২টি সিগারেট সহজেই কিনতে পারবে। কিন্তু একবারে এক প্যাকেট কেনা তার জন্য কষ্টকর হবে। এর ফলে তরুণরা তামাক ব্যবহার শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর ডা. আহমাদ খায়রুল আবরার।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যার ফলে আইনটি তামাকের ব্যবহার কমাতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইনটি সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংশোধনীগুলো হলো : সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপান এলাকা’ রাখার বিধান বাতিল করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বাড়িয়ে ৯০% করা এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা ডা. কাজী আয়েশা সিদ্দিকা, ডা. লুৎফর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদমান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গৌরব বিশ্বাস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক মাহামুদ সেতু, মিডিয়া ম্যাজোর, অ্যান্টিটোব্যাকো প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.